ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

২০২১ সালের মধ্যে পরমাণু মুক্ত হবে উত্তর কোরিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত পম্পেও

উত্তর কোরিয়াকে ২০২১ সালের মধ্যে পরমাণু মুক্ত করতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

চলতি বছরের গোড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে বৈঠক করেছিল কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছিল সেটি। তবে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ওই চুক্তিতে নিজেদের প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন কিম। এরপরই এই বৈঠকের কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও।

কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু হুমকি মুক্ত করতে একটি যৌথ সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। তারা একে ‘নতুন যুগের সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বুধবার চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, কোরীয় উপদ্বীপকে ‘পরমাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া’শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা।

এরই প্রেক্ষিতে পম্পেও বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘সত্ত্বর আলোচনার প্রস্তুতি’ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইতিমধ্যে তিনি উত্তর কোরিয়ার পরররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো’কে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রি ইয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে পম্পেও আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার এই আলোচনার মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর ফলে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে পিয়ংইংয়ংকে সম্পূর্ণভাবে পরমাণু মুক্তি করা সম্ভব হবে, যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চেয়ারম্যান কিম।’

এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোরিয়া উপদ্বীপে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেছেন পম্পেও।

প্রসঙ্গত, বুধবার পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কিম ও মুন। এরপর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, তারা কোরিয়া উপদ্বীপকে ‘পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার একটি উপায়’ খুঁজে বের করতে সম্মত হয়েছেন। তার ভাষায়, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে কোনো যুদ্ধ নয় (নো ওয়্যার) যুগের সূচনা হলো।’

তিনি আরো জানান, নতুন চুক্তিতে পিয়ংইয়ং তাদের ইয়ংবিয়ন পরমাণু কেন্দ্রটি ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছে। পাশপাশি টংচ্যাং’র রি-ইঞ্জিন টেস্টিং ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি চিরতরে বন্ধ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনেও রাজি হয়েছেন কিম জং উন।

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত