ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষক নিবন্ধনে এসব কী হচ্ছে!

  সাধন সরকার

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৪  
আপডেট :
 ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:০৪

শিক্ষক নিবন্ধনে এসব কী হচ্ছে!

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) উদাসীনতায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না নিবন্ধনকারীরা। প্রায় চার মাস হল ত্রয়োদশ (১৩তম) শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে শুরু হওয়া ১৩তম নিবন্ধনে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মোখিক পরীক্ষায় তিন ধাপে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে নিবন্ধনকারীদের। তাহলে এখনও কেন উত্তীর্ণ নিবন্ধনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না?

এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের (যারা এখনও চাকরি পাননি) ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অথচ ২০১৬ সালে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের অনেকেই হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে নিয়োগ লাভের আশায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কেননা, তাদের তখন বলা হয়নি যে উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ হবে! পরে যখন জানা গেল উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ হবে, তখন অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কারণ এর ফলে বেশিরভাগ প্রার্থীরই চাকরি হয়নি।

আরো পড়ুন: এনটিআরসিএ কি শিক্ষিত বেকারদের জন্য অভিশাপ?

চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ১৩তম নিবন্ধনকারীদের ব্যাপারেও এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না। এর মানে কি, এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ সঠিক, বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না? বলার অপেক্ষা রাখে না, ১ থেকে ১৩তম উত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা বর্তমানে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আগেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের পুরনো সমস্যার কারণে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর মনে সংশয় ও হতাশা বিরাজ করছে। আগেই জানানো হয়েছে, শিক্ষক নিবন্ধনকারীদের নিয়োগ দেয়া হবে উপজেলা ও জেলাভিত্তিক। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে কোন উপজেলায় কোন বিষয়ে কী পরিমাণ শূন্য পদ আছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ্য, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় একই কাজ করা হয়েছিল। এর ফলে লিখিত পরীক্ষা ভালো দিয়েও অনেকে তখন উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কারণ উপজেলায় পদ ফাঁকা ছিল না। চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায়ও একই সমস্যা হতে চলেছে। পরীক্ষার্থীরা জানে না, আদৌ তার উপজেলায় শূন্য পদ আছে কিনা! বেকার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এভাবে সময় ও অর্থ নিয়ে খেলা করার কোনো মানে হয় না। এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের উচিত, নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা অবহিত করা। তাহলে পরীক্ষার্থীরা শুরু থেকেই জেনে-বুঝে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জট খুলছে

দেখা যাচ্ছে, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নিয়োগদানের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের ব্যাপারে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। একই সঙ্গে ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জেলা ও উপজেলাভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা অবিলম্বে জানানো হোক। এতে পরীক্ষার্থীরা সংশয়মুক্তভাবে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত