কর্মচারীর স্ত্রীর সাথে ডাক্তারের পরকীয়া
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:০৩
নড়াইল সদর হাসপাতালের এক মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে সদর উপজেলা আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি আমলে এনে সদর থানাকে এফআইআর গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে এ মামলা দায়ের করা হয়। সদর হাসপাতালের আউটসোর্সিং-এর কর্মচারী বিধান দাস একই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বিবাস শর্মা এবং তার (বিধান দাস) স্ত্রী রিম্পা দাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বিবাস শর্মা সদর হাসপাতালের ডক্টরস কোয়ার্টারে এবং হাসপাতালে আউটসোর্সিং প্রজেক্টে এমএলএসএস হিসেবে কাজের সুবাদে বিধান দাস ও তার স্ত্রী রিম্পা দাস কর্মচারি কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। গত তিন মাস আগে থেকে হাসপাতালে পাশাপাশি অবস্থানের সুযোগ নিয়ে ডা. বিবাস শর্মা বিধানের স্ত্রী রিম্পার সাথে বিভিন্ন জায়গায় অনৈতিক সম্পর্ক গোড়ে তোলে এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি আদান প্রদান করে।
সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর হাসপাতালের কর্মচারি কোয়ার্টারে বিধানের একটি কক্ষে হাতে-নাতে বিষয়টি ধরে ফেলে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য বাদী উক্ত চিকিৎসককে সতর্ক করলে এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নিষেধ করে এবং তাকে হত্যা ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। এছাড়া স্ত্রীও আত্মহত্যার ভয় দেখায়। বিষয়টি বিধান তার স্ত্রীর পরিবারকে জানালেও তারা সংশোধন হয়নি। বরং এ ধরনের অনৈতিক কাজ চলমান থাকে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডা. বিবাসের স্ত্রী চৈতি রায় স্বামীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে যৌতুকের একটি মামলা করেছে। স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় ডা. বিবাস কিছুদিন জেল-হাজতে ছিলেন। চৈতি এখন তার বাবার বাড়ি অবস্থান করছেন।
বিধান দাস এই প্রতিনিধিকে জানান, লোকলজ্জার ভয় এবং সংসারের শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে এ মামলা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. বিবাস শর্মা মামলার বিষয়টি জানেন না বলে জানান। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্কের কথা সঠিক নয়। তবে স্ত্রী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, আমাদের দাবি বাদী যেন বিচার পান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে