ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিএসএফের হাতে সকালে আটক, বিকেলেই মৃত্যু বাংলাদেশির

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:১৫  
আপডেট :
 ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:২৮

বিএসএফের হাতে সকালে আটক, বিকেলেই মৃত্যু বাংলাদেশির

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হেফাজতে বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সকালের দিকে আটক হওয়ার পর বিকেলেই তার মৃত্যু হয়।

মৃত হানিফ আলী (৩২) যশোরের বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে, বিএসএফের মারধরেই মৃত্যু হয়েছে হানিফের।

তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান কর্তৃপক্ষ দাবি করে, অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে হানিফ আলীর। এদিকে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে আছে পুলিশ।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটার ডোবারপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন হানিফ। সঙ্গে ছিলেন তার আরেক সঙ্গী। বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা তাদের রুখতে তাড়া করেন।

এসময় অপরজন পালিয়ে গেলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান হানিফ। ওইদিন বিকালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। দ্রুত হানিফকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অখিল মন্ডল বলেন, বুধবার বিকেলে বিএসএফের জওয়ানরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এদিকে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতে থাকাকালীন বিএসএফের মারধরের ফলেই মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকের। যদিও বিএসএফের পাল্টা দাবি, অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে হানিফ আলির। তবে সকালে আটক, বিকেলেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি অনেকেই অস্বভাবিক মনে করছেন।

বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণও নেওয়া হয়েছে। গাইঘাটা থানার পুলিশ মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। হানিফ আলির দেহ হস্তান্তরের জন্য বিজিবি’র সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে সন্দিপ (২৪), কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল (৩২) এবং বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে চকবিষ্ণপুর দিঘিপাড়ার মৃত খোদাবক্সের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৩৮)। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলাও হলেও বিএসএফ’র ছোঁড়া গুলিতে সন্দিপ, কামাল এবং মফিজ উদ্দিন মারা যান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত