ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

রূপগঞ্জে লকডাউনের মধ্যেও বাজারে মানুষের ঢল

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৩:৫৫

রূপগঞ্জে লকডাউনের মধ্যেও বাজারে মানুষের ঢল

করোনাবাইরাস মহামারীতে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এর আছ পড়েছে। ইতোমধ্যে করোনার উপসর্গ সর্দি, কাশি জ্বর নিয়ে মারাও গেছেন কয়েকজন। এমতাবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা উপজেলাকে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।

সপ্তাহে দুদিন শুক্রবার ও সোমবার বাজার খোলা রাখার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। যেন তারা কোনো উৎসবের বাজার করছেন। কেউ কোনো সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। প্রশাসন যেন মানুষের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

রূপগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রয়োগ করা লকডাউনের ভিতরেও বাজারে রয়েছে উপচে পড়া ভির। হাজার হাজার মানুষ এক সঙ্গে বাজারে এসে ভির করায় মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঝুকি। এ ব্যাপারে বিশেষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার সকালে উপজেলার সবগুলো বাজারে ছিল একই দৃশ্য।

জানা যায়, করোনা আক্রান্ত জেলা হিসেবে গত ৮ এপ্রিল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করে আইএসপিআর। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলার বিভিন্ন থানা উপজেলা এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচারণাসহ করা হয় জরিমানার ব্যবস্থাও।

এদিকে রূপগঞ্জের সবগুলো হাট বন্ধ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। কেবল শুক্র ও সোমবার ২ ঘন্টার জন্য বাজার খোলা রাখার সিগ্ধান্ত নেয়া হয় রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গত ৩ দিন লকডাউনের কবলে থেকে শুক্রবার সকালে একযোগে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পরে সাধারন মানুষ। তারা আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা না যে যেভাবে পেরেছে অধিক পরিমান বাজার করেছে এদিন। উপজেলার কাঞ্চন বাজার, ভক্তবাড়ী, রূপগঞ্জ, মুড়াপাড়া, রানীপুরা, আতলাপুর, বেলদী, রুপসী, তারাবো, বরাবো, নোয়াপাড়া, মৈকুলী, গাউছিয়াসহ সকল বাজারে ছিল একই দৃশ্য। এ কারণে আক্রান্ত জেলা হিসেবে আরো অধিক পরিমানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সম্ভবনা তৈরী হয়েছে।

বাজারে ভির ঠেকাতে কোন প্রকার ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি স্থানীয় প্রশাসন থেকে। বাজারে মাছ-কাচা বাজারের পাশাপাশি চা দোকান থেকে শুরু করে সকল দোকানপাটই খোলা রাখতে দেখা গেছে শুকবার।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম মম বলেন, আমরা ভির কমাতে সপ্তাহে দুদিন সীমিত সময়ের জন্য বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এতে যে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। সামনে এ ব্যাপারে বিকল্প চিন্তা করবো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদেস্যরা মাঠে রয়েছে। তাঁরা কঠোর হস্তে সকল অপরাধ দমন করছে।

উল্লেখ্য-রূপগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে একজন করোনা রোগীর কথা ঘোষণা করা হলেও করোনা আক্রান্তের লক্ষণ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তবে নমুনা সংগ্রহ না করায় তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত