ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেধাবী আবু মুসা বাঁচতে চায়

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২০, ১৪:৫৮

মেধাবী আবু মুসা বাঁচতে চায়

পাঠক, আপনার সামান্য সহযোগীতায় হয়তো একটি প্রাণ বেঁচে যেতে পারে। আপনার ক্ষুদ্র প্রয়াস একটি অসহায়-গরীব পরিবার তার সন্তানকে বুকে আগলে রাখতে পারবে। আপনাদের সবার সহযোগীতায় হয়তো আজকের কিশোর ভবিষ্যতে দেশের সুনাম বয়ে আনতে পারে। বড় হয়ে সে-ও হয়তো একদিন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।

ছেলেটির নাম আবু সালে মুসা। দিনমজুর পরিবারের সন্তান। মায়াবী চেহারা। মেধাবী, নম্র-ভদ্র। মুসার স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া শিখে বড় হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম নিয়তি! আজ তার পাশেই মানুষকে দাঁড়াতে হচ্ছে। মাত্র ১২ বছর বয়সে বয়ে বেড়াচ্ছে জটিল রোগ। মুসা তার বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে ফেলেছে।

রাজধানী ঢাকার স্বামীবাগের রওজাতুল উলুম কওমী মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র মুসা চিকিৎসার টাকার জন্য গত এক বছর ধরে জটিল রোগ নিয়ে সমাজের মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ সহযোগীতার হাত প্রসারিত করেনি। ক্রমে-ক্রমে তার রোগটি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। এখন অস্ত্রোপাচার করা ছাড়া তাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।

সফল অস্ত্রোপাচার ও চিকিৎসা-ঔষুধসহ খরচ পড়বে ৫ লাখ টাকা। দিনমজুর বাবা শফিকুল ইসলামের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করাও সম্ভব নয়। স্ত্রী, তিন সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবাসহ সাত জনের সংসারের ঘানি টানতে হিমশিম খান শফিকুল। তার ওপড় দুই সন্তানের লেখাপড়া ও মাত্র ১১ মাসের সন্তানের দুধের খরচ জোগানোতো রয়েছেই। কাজ না থাকলে অনেক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। একদিকে সংসার, আরেকদিকে সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভারের চিন্তা করে শফিকুল ইসলাম এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মুসা ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের আল-মানার হাসপাতালে মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে তার চিকিৎসা। টাকা জোগাড় হয়ে গেলে অপারেশন হবে।

ছেলেকে বাঁচাতে দিনমজুর শফিকুল ইসলাম রূপগঞ্জ তথা সারাদেশের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার জন্য জোর আহ্বান জানিয়েছেন। শফিকুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর-০১৯১৩৪১০৫৬৩। কেউ বিকাশ করতে চাইলে ০১৯১৩৪১০৫৬৩ নম্বরে বিকাশ করতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত