ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধসে গেছে বাঁধ, ভিটে হারানোর আশঙ্কায় পদ্মার তীরবর্তীরা

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২০, ০১:৩৮

ধসে গেছে বাঁধ, ভিটে হারানোর আশঙ্কায় পদ্মার তীরবর্তীরা

প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গতবছরে নির্মিত বালুর বাঁধ গতকয়েক দিনের অতিবর্ষণের ফলে ধসে গেছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না করলে বসত বাড়ি ও ভিটে হারানোর আশঙ্কায় পড়েছেন কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর তীরবর্তী বন্যাকবলিত বাসিন্দারা।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়টা, নতুন পাড়া, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর এলাকায় গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে গত বছর স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বালুর বাঁধ নির্মান করা হয়। এবছর প্রবল বর্ষণে বালুর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

নতুন পাড়া এলাকার পদ্মা পাড়ের সিদ্দিক আলী বলেন, অবিলম্বে বাঁধ নির্মান করা না হলে আমাদের ঘর-বাড়ী, ফসল, গাছ-পালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা দ্রুত সমাধান চাই।

এ বিষয়ে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ারা খাতুন বলেন, এলাকাবাসীরা বালুর বাঁধে আর বিশ্বাসী হতে পারছেন না। নদী ভাঙ্গন রোধে তারা ব্লক দিয়ে নদীর পাড় বাঁধার দাবী জানান।

জুনিয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান শাহেদ আহাম্মেদ শওকত ও বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ছবি পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন ও বাঁধ ধসের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত স্থায়ী সমস্যা সমাধানের দাবী জানান।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অত্র এলাকার বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা পদ্মার ভয়াল থাবার মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবগত করেছি।

ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান মিঠু বলেন, পদ্মা পাড়ের ভাঙনের কথা শুনে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। যদি সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ করা না হয়, তাহলে বহু বাড়ী ঘর নদী গর্ভে চলে যাবে। এ ব্যাপারে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, গত বছর যেখানে আমরা বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম, তার পাশেই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা শুনেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত