ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবৈধ ক্যাবল উচ্ছেদের খানিক পরই সংযোগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৮:২৭  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৯:০৩

অবৈধ ক্যাবল উচ্ছেদের খানিক পরই সংযোগ
উচ্ছেদ অভিযান শেষ হতেই নতুন করে সংযোগ শুরু হয়ে যায়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অবৈধ ক্যাবল এবং স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে অবৈধ ক্যাবল ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার খানিক পরই আবারও অবৈধ ক্যাবল সংযোগ লাগাতে দেখা গেছে।

বৃস্পতিবার বিকেলে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আদালত ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের সামনের ধানমন্ডি ৭ নং রোডে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে মো. মনিরুজ্জামান জানান, আগামী রোববার ধানমন্ডির অন্যান্য এলাকা ও হাজারীবাগ এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ডিএসএসসির কর্মীরা অবৈধ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন

সরেজমিনে দেখা গেছে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়া মাত্রই ধানমন্ডি লেকে আবারও অবৈধ ক্যাবল সংযোগ লাগানো শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজধানীতে অবৈধ ক্যাবলের পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ‘দ্বিতীয় দিন’ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রমের রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন উদয়ন মার্কেটের আশপাশ এবং গোলাপ শাহ মাজার হতে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সকাল ১০ টার পরে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলিস্থানের উদয়ন মার্কেট এলাকায় প্রবেশ করে।

উদয়ন মার্কেটে ঢোকার মুখে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়, মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকান এবং রাস্তার পাশের কনফেকশনারী উচ্ছেদ করে। এরপর গোলাপ শাহ মাজার হতে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশের অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের হকার ও টং দোকান উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন ইরফান উদ্দিন আহমেদ।

উচ্ছেদ অভিযানের পর পরই নতুন তার সংযোগ শুরু হয়ে যায়

উচ্ছেদ অভিযানের পর ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার পর আমরা উদয়ন মার্কেট এলাকায় প্রায় ৩০টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ দোকান ও কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছি। আর গোলাপ শাহ মাজার হতে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত প্রায় ২০টি অবৈধ টং দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি, উচ্ছেদ করেছি ফুটপাতের হকার। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশেনা মোতাবেক এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

ইরফান জানান, আগামী রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের পাশাপাশি বঙ্গ বাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

উচ্ছেদ অভিযানের পর পরই নতুন তার সংযোগ শুরু হয়ে যায়

এদিকে এলাকাবাসী জানায়, উচ্ছেদ অভিযানের আগে এলাকায় কোনো ধরনের মাইকিং করা হয়নি। নোটিশও দেয়া হয়নি। হঠাৎ করে এই অভিযানের কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। অনেকেই স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখতে পারছেন না।

এসব কারণে কিছুটা অসন্তোষ থাকলেও স্থানীয়রা অভিযানে খুশি। তবে তারা বলছেন, আগেই নোটিশ বা এলাকায় মাইকিং করা উচিত ছিলো।

প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গত ৩১ জুলাই কর্পোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ক্যাবলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার করার পরিকল্পনা জানান। এরই অংশ হিসেবে এই অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত