‘বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা মাথা উঁচু করে ঘুরছে’
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৫০
রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ওই স্কুলছাত্রীর সুরতহাল ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রীতিলতা ব্রিগেড। সমাবেশে তারা রাষ্ট্রকে 'ধর্ষক উৎপাদনের কারখানা' বলে আখ্যা দেন।
প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতু'র সভাপতিত্বে ও সংগঠক মৈত্রী ক্যাডেটের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জয়তী চক্রবর্তী, শায়লা হক ইমা, মুক্ত রেজোয়ান, মিখা পিরেগু, কে এম মুক্তাকি, আসমানী আশা, ফাতেমা মেঘলা প্রমুখ।
সমাবেশে তারা ‘মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমান তলে;’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গণধর্ষণের ঘটনাটি সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে নারীদের ওপর সহিংসতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তনু, আফসানাসহ অধিকাংশ ধর্ষণের মামলাতেই এই বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
‘একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা বিকৃত অপরাধীর মানসিকতার মানুষদেরকে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে অভয় দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে।’
তারা আরও বলেন, আমাদের দেশে আইন আছে, কিন্তু প্রচলিত আইনে ধর্ষণের বিচারে বরাবরই গড়িমসি, নেই কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ। এসব খামখেয়ালি এবং ক্ষমতার অতিরিক্ত চর্চাই দিন দিন নারীর ওপর ভয়াবহতার মাত্রা বাড়াচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে