ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

যানজটে বাধাপ্রাপ্ত আমদানি-রপ্তানি, রাস্তা সম্প্রসারণের দাবি ব্যবসায়ীদের

  হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৪১

যানজটে বাধাপ্রাপ্ত আমদানি-রপ্তানি, রাস্তা সম্প্রসারণের দাবি ব্যবসায়ীদের
ছবি: প্রতিনিধি

চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। একমুখী ও সংকীর্ণ রাস্তা হাওয়ায় প্রতিনিয়তই লেগেই থাকছে যানজট, বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। রাস্তা সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসন করা গেলে বাড়বে আমদানি-রপ্তানি সেই সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব বলছেন ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে সরকার ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে হিলি স্থলবন্দর। ভারতের সাথে যোগাযোগ ভালো হওয়ায় কারণে খুব দ্রুত সময়ে স্থলবন্দরটি দেশে পরিচিত লাভ করে।

তবে সম্প্রতি যানজটের কারণে প্রতিনিয়তই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আমদানি করতে পারছে না এখানকার ব্যবসায়ীরা। বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর বেধে দেয়া টার্গেট থেকেও বেশি রাজস্ব পেলেও ভোগান্তি কমছে না এখানকার ব্যবসায়ীদের। এর কারণ হিসেবে একমুখী ও সংকীর্ণ রাস্তা, রেল ক্রসিং, সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত বন্দর থেকে ভারত অভ্যন্তরে খালি ট্রাক প্রবেশ। সবমিলিয়ে ১১টার পরে শুরু হয় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। যেখানে অন্য বন্দর গুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। আর এসব সমস্যার কারণে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শাহিনুর রেজা শাহিন জানান, আমরা হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করে থাকি। তবে একমুখী রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে এতে করে আমরা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি করতে পারি না। আমদানি বেশি করতে পারলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন গতি বাড়বে তেমনি সরকারের রাজস্ব দ্বিগুণ হবে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান,একমুখী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে প্রতিদিন যানজট লাগে। এই সমস্যার সমাধান করা গেলে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে সেই সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব।

তিনি আরো জানান, এখানে ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় প্রতিদিন বন্দরে পণ্য নিতে আসা তিন থেকে চারশো বাংলা ট্রাক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে আবার ওই একই রাস্তা দিয়ে আমদানি কার্যক্রম ও জনসাধারণ চলাচল করে আর এতে করে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ফলে ব্যাহত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন দ্রুত সময়ে হিলি স্থলবন্দরের রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের আশা পূরণ করার।

হিলি কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, গম, চাল, বাদাম ও ইসবগুলের ভুষিসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দুই শতাধিকেরও বেশি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। যা থেকে সরকার প্রতিদিন রাজস্ব পায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তবে গাড়ির সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়ে গেলে প্রতিদিন রাজস্ব আয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত