ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভেজাল মধু সরবরাহের অপবাদে দুই ভাইকে নির্যাতন

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ মে ২০২১, ০৯:৪৯

ভেজাল মধু সরবরাহের অপবাদে দুই ভাইকে নির্যাতন
নির্যাতনের শিকার দুই ভাই আল আমিন ও আলাল সরদার।

পাবনার ঈশ্বরদীতে ভেজাল মধু সরবরাহের অপবাদে মাথার চুল কেটে বিদ্যুতের খাম্বায় বেঁধে দুই ভাইকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া নুরজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার দুই ভাই আল আমিন (২৪) ও আলাল সরদার (১৮) দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের আলম সরদারের ছেলে।

পারিবারিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভিলেজ ফ্রেশ ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো কোম্পানিতে ভেজাল মধু সরবরাহের অপবাদে সকাল থেকে আল আমিন ও আলালকে প্রখর রোদে বিদ্যুতের খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রাখে কর্মচারীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জিসান হোসেন এসে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের মুখে জিসান তাদের ছেড়ে দেয়।

মারধরের ব্যাপারটি স্বীকার করে জিসান হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠান মধুসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাজারজাত করে। এ প্রতিষ্ঠানে পাইকারি খাঁটি মধু সরবরাহের জন্য প্রায় এক বছর আগে চুক্তিবদ্ধ হন আল আমিন ও আলাল। প্রথমে খাঁটি মধু সরবরাহ করলেও কিছুদিন পর থেকেই ভেজাল মধু সরবরাহ করতে থাকেন তারা। গ্রাহকরা এ ভেজাল মধুর বিষয়ে অভিযোগ দিতে থাকেন। বিষয়টি আল আমিন ও আলালকে জানালে নানা টালবাহনা করতে থাকেন।

পরবর্তী সময়ে ভালো মধু দেয়ার কথা বলে আবারও ভেজাল মধু দেন তারা। তারা প্রায় ৩০০ কেজি মধু সরবরাহ করেছেন। তার মধ্যে ভেজালের কারণে ১২০ কেজি মধু এখনো অবিক্রীত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারও ভেজাল মধু সরবরাহের জন্য এলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন এসে দুজনকে আটকে রেখে উত্তম মধ্যম দিয়ে ইউএনও’কে বিষয়টি অবহিত করেন।

তিনি আরো জানান, বিকালে আল আমিন ও আলালের পরিবারসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আসেন। এ সময় ভেজাল মধুর ক্ষতিপূরণ এবং জনসম্মুখে দুজনকে চড়ধাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

নির্যাতনের শিকার দুই সহোদরের বাবা আলম সরদার বলেন, ‘তারা আমার ছেলেদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অন্যায়ভাবে মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস জানান, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই যুবক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে খবর জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত