শিবচরে স্পিডবোট দুর্ঘটনা
চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে জীবনটাই হারালেন শাহাদাত
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২১, ২০:১২ আপডেট : ০৩ মে ২০২১, ২০:১৬
মাদারীপুরের শিবচরে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র ছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত শাহাদাত হোসেন মোল্লার (২৯) বাড়ি মাদারীপুরেরর শিবচর উপজেলার নিয়ামতকান্দী গ্রামে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শিমুলিয়া থেকে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এ সময় কাঁঠালবাড়ীর পুরাতন ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এ সময় সব যাত্রী পানিতে পড়ে যান। পরে নদী থেকে একে একে এ পর্যন্ত ২৬ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করা শাহাদাত হোসেন মোল্লাও।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবিতে শাহাদাত প্রাণ হারিয়েছেন। আদম আলী মোল্লা ও রিজিয়া বেগম দম্পতির ৬ ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাহাদাত। তিনি এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন।
শাহাদাত হোসেন মোল্লার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার দাদন মোল্লা (৬০) বলেন, এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন শাহাদাত। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকা যান। ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। চাকরি করা হলো না শাহাদাতের। লাশ হয়ে তাকে ফিরতে হলো। লকডাউনের ভেতর ঢাকা যেতে না করেছিলাম। তবুও গেছে। ইন্টারভিউ শেষে আর বাড়ি ফিরতে পারলো না শাহাদাত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন ফোনে জানান, প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ লাশ হস্তান্তর করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শাহাদাত হোসেনের মৃত্যুতে সহপাঠী ও সজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: শিবচরে নৌ দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৬
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে