ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

৬০ লাখ টাকার ‘উধাও সুপারি’ ৭ দিন পর মিলল ভারত সীমান্তে

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ২১:৫২

৬০ লাখ টাকার ‘উধাও সুপারি’ ৭ দিন পর মিলল ভারত সীমান্তে

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে ২শ’ বস্তার প্রায় ৬০ লাখ টাকার সুপারি নিয়ে সিলেট যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যায় একটি ট্রাক। সাত দিন পর ভারত সীমান্তে সিলেটের জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে বিভিন্ন গুদামে পাওয়া যায় ১৮২ বস্তার সুপারিও উধাও হওয়া ট্রাকটি।

এ ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের তিন ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকের মালিক ও চালক-সহকারীসহ আরও চার ৭ জন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পণ্য ট্রাকে বহন করে একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়ার নামে ভাড়া নেয়। গন্তব্যে পৌঁছালেও নির্দিষ্ট স্থানে না নিয়ে তাদের গোডাউনে রাখে এবং দু-এক দিনের মধ্যে অবৈধপথে ভারতে পাচার করে দেয়।

শনিবার কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট এলাকায় টানা দু’দিন অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে ১৮২ বস্তা সুপারি ও তিন জনকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফয়সাল আহমদ (২৭), আজিজুল হক (৫২) ও লোকমান হোসেন প্রকাশ টুটুলকে (২৩)। তাদের বাড়ি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের মাস্তিংহাটি গ্রামে।

এছাড়া পালাতক আসামিরা হলেন- ট্রাকটির মালিক শেবলু মিয়া এবং চালক ভুট্টু মানিক ও তার সহকারী জাহাঙ্গীর, সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল এবং দুলাল। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন শাহিন, সামছুল এবং দুলালের সহযোগী।

পুলিশ জানায়, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর খাতুনগঞ্জ মদিনা হোটেলের সামনে থেকে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব লিটন ২শ’ বস্তা সুপারি ভুট্টু মানিকের ট্রাকে করে সিলেট কাজী বাজারে প্রেরণ করেন। পরের দিন সকাল ৯টায় মালামাল দোকানে না পৌঁছালে অনেক খোঁজাখুজি পর ট্রাকটি কুলাউড়া থানা এলাকায় পাওয়া গেলেও সুপারিগুলো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই আব্দুল ওহাব লিটন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশের একটি টিম সিলেট জেলার জৈন্তাপুর এলাকা থেকে মো. ফয়সাল আহমদ, আজিজুল হক ও লোকমানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ১৬২.৫ বস্তা শুকনা সুপারি উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিদের তথ্যমতে কানাইঘাটের বীরদল কালুমোড়ের শাহীন ও সামছুলের যৌথ গোডাউন থেকে আরও ২০ বস্তা সুপারি উদ্ধার করে পুলিশ।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, মামলার পর আভিযান চালিয়ে ফয়সাল, আজিজুল ও টুটুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ১৮২.৫ বস্তা শুকনা সুপারি উদ্ধার ও ভাড়ায় নেয়া ট্রাকটি জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৭ জন পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত