ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

খুনিদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না আওয়ামী লীগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৬:৩০  
আপডেট :
 ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৯

খুনিদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না আওয়ামী লীগ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (১৫ আগস্ট) ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে যে কমিশন গঠন করা হবে তা অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয়, সকলের ন্যক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইন দ্বারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন।

তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণ ক্ষান্ত হবে না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহংকার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কি জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে।

খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানকে খুনি অভিহিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র ও হত্যাকারী।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা যে আইন পাস করেছিলেন তা জঙ্গলের পশুরাও করে না।

এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চলেছে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত। এমনকি তখন খবরের কাগজে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামটা লেখা যেত না। আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা প্রাণ হারিয়েছে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে।

অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদ সহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত