ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

করোনাকালে বেড়েছে পুরুষের আত্মহত্যার হার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩৫  
আপডেট :
 ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩৯

করোনাকালে বেড়েছে পুরুষের আত্মহত্যার হার
ছবি প্রতীকী

দীর্ঘদিন ধরে করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ব। এরই মাঝে অনেকেই চাকরি হারিয়ে হয়েছে বেকার। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন আর পারিবারিক কলহ ও হতাশা থেকে দেশে বেড়েছে পুরুষ আত্মহত্যার হার।

সোসাইটি ফর ভলান্টারি অ্যাকটিভিটিজের (শোভা) সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে আত্মহত্যার হার কমলেও বেড়েছে পুরুষের আত্মহত্যার হার। আয়-রোজগার না থাকায় হতাশা বা মানসিক অস্থিরতাই এর কারণ।

এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লকডাউনে কর্মহীন আর পারিবারিক কলহ ও হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে।

তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুরুষের আত্মহত্যার হার ৪৩ থেকে ৪৪ ভাগ থাকলেও বর্তমানে তা ৪৭ ভাগের বেশি।

‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশনস ডে’ বা বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ। প্রতি বছর ১০ই সেপ্টেম্বর ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন’ নামের সংগঠন দিবসটি পালন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা।’

২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

গবেষণা বলছে, মানসিক অসুস্থতা, বিশেষ করে বিষন্নতা, ব্যক্তিত্ব ও আবেগের সমস্যা, মাদকাসক্তি আর সিজোফ্রেনিয়ায় যারা ভুগছেন, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। পৃথিবীতে বছরে আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে থাকেন। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন! বাংলাদেশে বছরে গড়ে ১০ হাজার জন আত্মহত্যা করে। পাশ্চাত্যে মধ্য বা শেষ বয়সী মানুষেরা একাকিত্বে ভোগেন, যার কারণে সেখানে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী একাকী পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।

বিশেষ দিবসটিতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মো. ফারুক হোসেন বলেন, কোনো মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করলে পরিবারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তার সঙ্গে কথা বলা, তাকে সুযোগ দেয়া মনের কথা প্রকাশ করার। সে কারো সঙ্গে আবেগের প্রকাশ করতে পারলে বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় ফিরে আসে আর ভয়াবহ পরিণতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক এ সমস্যা দূর করতে সরকার, সমাজ ও পরিবারকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/অধরা/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত