ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৬০ ইউপিতে ভোট শেষ, চলছে গণনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৫০  
আপডেট :
 ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:০৫

১৬০ ইউপিতে ভোট শেষ, চলছে গণনা
ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা।

সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা। কিছু সময় পর ঘোষণা করা হবে ফলাফল।

১৬০টি ইউপির মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে। বাকি ১৮৪টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হয়। প্রথমে ইসি ৩৬৭ ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও করোনা প্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, আজ দেশের ৯টি পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার পরিষদের কয়েকটি উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নালের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের সার্বিক চিত্র নিচে তুলে ধরা হল-

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়ন ও কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন মারা গেছেন। সোমবার ভোট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হন। এ সময় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

কুতুবদিয়া উপজেলার পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে আবদুল হালিম নামের আরেকজন নিহত হন। সহিংসতার ঘটনার পর দুই কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি।

ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় টেকনাফের উনছিপ্রাং ও লম্বাবিল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাস্তায় অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরফানুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সোনাগাজীতে পুলিশ কেন্দ্রের গোপন কক্ষ থেকে নয়জন বহিরাগতকে আটকও করা হয়েছে। কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অনিয়মের অভিযোগ এনে নোয়াখালীতে ভোট বর্জন করেছেন নৌকার দুই প্রার্থী। ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই নোয়াখালীর হাতিয়ার ৯ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) জিয়া আলী মোবারক কল্লোল, ১০ নম্বর জাহাজ মারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) এটিএম সিরাজ উল্যাহ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

খুলনা বিভাগের ১৬ উপজেলার ১২০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক কেন্দ্রে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ছাতা মাথায় ও বৃষ্টিতে ভিজে ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে।

তবে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বারাকপুরের মিনা পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ইমরান শেখ (২৫), আহাদ শেখ (২৫), কামাল মল্লিক (৩০), আলমগীর (৩৮) ও পথচারী সাগর (১৫)।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সাতটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন

মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২

খুলনায় ইউপি নির্বাচনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত