ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাবুল-মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে চায় পিবিআই

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫৬  
আপডেট :
 ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫৯

বাবুল-মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে চায় পিবিআই
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ মিতুর দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী উল্লেখ করে দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আগামী রোববার এ আবেদনের ওপর চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বাবুল আক্তারের দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য সম্প্রতি আদালতে একটি আবেদন করেছি। এ খুনের ঘটনায় ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি। তদন্ত প্রক্রিয়া অংশ হিসেবে ও মামলার রহস্য উদঘাটনে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে আদালতে আবেদন করেছি। আদালতের আদেশ পাওয়া গেলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এজাহারে সাবেক এসপি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার, কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা ও শাহজাহান মিয়াকে আসামি করা হয়েছিলো। যদিও এদের মধ্যে ২ জন পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছেন ২ জন। পুলিশের তথ্যমতে, কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্বদানকারী মুসা পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত