ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কোরবানির পশুর চামড়া: ছাগল ২০ টাকা, গরু ১০০

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২২, ১০:৩২  
আপডেট :
 ১২ জুলাই ২০২২, ১০:৩৫

কোরবানির পশুর চামড়া: ছাগল ২০ টাকা, গরু ১০০
ছবি- প্রতিনিধি

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম কুষ্টিয়ায় কোরবানির চামড়ার ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছে বিক্রেতারা। তারা বলছে, ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা এসে ফুটের হিসাবে দাম দিচ্ছে না।

একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন ত্রিমোহনীর মুর্শিদ। তিনি বলেন, ‘ক্রেতা এসে ২০ টাকা দাম বলে নিয়ে গেছে। না দিতে চাইলে ফেলে রেখে যাচ্ছে। আমরা এই চামড়া দিয়ে কি করবো।

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় চামড়া দান করে দিয়েছেন। তারা যে দাম পাচ্ছেন তাতেই বেঁচে দিচ্ছে।’

আব্দুর রশিদ গরু কোরবানি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘গরু বেশ বড়। তারপরও ফড়িয়া এসে ২০০ টাকা দাম বলেছে। দিতে হয়েছে। অনেকেই ১০০ টাকাতেও গরুর চামড়া বিক্রি করেছে। রাগ করে অনেকে এমনিতেই দিয়ে দিয়েছে।

চামড়া ব্যবসায়ী কাজী আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা ও সাভারে ট্যানারিতে তারা ভালো দাম দেয় না। তা ছাড়া বাকি ফেলেন। এ ছাড়া লবণের দাম বেশি তাই বেশি দামে চামড়া কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব না।

কুষ্টিয়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিস কোরাইসী জানান, মহাজনের কাছ থেকে পাওনা টাকা তুলতে না পেরে অর্থ সংকটে পড়েছে কুষ্টিয়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে ধরণা দিয়েও ফল পাননি তারা।

কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীদের বকেয়া ১০ কোটি টাকার ওপর জমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম কুষ্টিয়া। শহরের বাবর আলী গেট এলাকায় এখনো টিকে আছেন ৫০ জন ব্যবসায়ী। তারা চামড়া কিনে প্রক্রিয়াজাত করে পাঠান রাজধানী ঢাকা ও সাভারের ট্যানারিতে। কিন্তু কয়েক বছর হলো পুরোপুরি চামড়ার টাকা পরিশোধ করছেন না ট্যানারি মালিকরা। এবার গতবারের চেয়ে কোরবানি কম হয়েছে। সব চামড়া আড়তে এলে বোঝা যাবে সংখ্যা।

সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এখানো কেউ চামড়া পাচার করতে পারেনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত