ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সার না পেয়ে কৃষকদের সড়ক অবরোধ

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৪৩

সার না পেয়ে কৃষকদের সড়ক অবরোধ
ছবি: প্রতিনিধি

চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে জামালপুরে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ কৃষকেরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে জামালপুর সদরের শরিফপুর বাজারে সামনে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সার নিতে আসা কৃষকেরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরিফপুর বাজারে সার বিক্রি করে মেসার্স নাশাদ এন্ট্রারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি সার বিক্রি বন্ধ রাখলে কয়েকদিন থেকে কৃষকরা সেখানে ঘুরাঘুরি করেও সার পাচ্ছিল না। তবে ওই বিক্রয়কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছিল, আজ রোববার সকালে সার বিক্রি করা হবে। ফলে শরিফপুর ইউনিয়নের কৃষকরা ওই বিক্রিয় কেন্দ্রে যান।

কিন্তু কিছু কৃষককে ৫ থেকে ১০ কেজি করে সার দেয়ার পর বিক্রয়কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কৃষকেরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছিলেন না। এজন্য সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন কৃষকদের মধ্যে সার বিক্রি শুরু করেন।

কৃষকদের অভিযোগ, তারা সকালে সার নিতে এসে জানতে পারেন, চাহিদা অনুযায়ী সার দেয়া হবে না। ৫ থেকে ১০ কেজি করে ইউরিয়া সার দেয়া হবে। তাও আবার বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করেন।

শরিফপুর এলাকার কৃষক আবুল হোসেন জানান, তার ৪ বিঘা চাষের জমি রয়েছে। ইউরিয়া সার দেয়ার এখন উপযোগী সময়। ফলে তিনি গত তিনদিন ধরে ওই বিক্রয়কেন্দ্রে এসে সার না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যায়। আজ সকালে সার দেয়ার খবরে তিনি আসেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী সার না থাকায় সেখানে হুড়াহুড়ি শুরু হয়।

তিনি বলেন,ক্ষেতে এখন সারের প্রয়োজন, কিন্তু আমরা কোথাও সার পাচ্ছি না। দুই একদিনের মধ্যে সার না দিতে পারলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আমার মতো বেশিরভাগ কৃষকই সার পাচ্ছে না। তাহলে সার গেলো কোথায়?

বিক্ষোভরত কৃষকরা বলেন, যেখানে এক থেকে দুই বস্তা সার প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৫ থেকে ১০ কেজি দিতে চাইতেছে। তারপরও কিছু কৃষককে সার দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আমরা সবাই সড়ক অবরোধ করে চাহিদা অনুযায়ী সারের দাবি করছি।

মেসার্স নাশদ এন্ট্রারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন বলেন, আমি এই বাজারে একজন সাব-ডিলার। মূল ডিলার নবীন এন্ট্রারপ্রাইজ। সেখান থেকে ২০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ মেট্রিক টন উত্তোলন করা হয়েছে। এই ১০ মেট্রিক টনই বিক্রি শুরু করেছিলাম। কিন্তু এতো কৃষক জড়ো হয়েছেন এবং তারা ব্যাপক বিশৃঙ্খলা শুরু করে দেন। সার বিক্রি কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ইউএনও মহোদয়ের উপস্থিতিতে সার বিক্রি শুরু হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত