অভিনব কায়দায় মাদক কারবারে যুক্ত ছিলেন তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:১৬ আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:২৩
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ৯ হাজার ৬৮০পিস ইয়াবা ও ৩ গ্রাম আইসসহ তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইসমাইল (৩২), জাকারিয়া মাসুদ বাপ্পি (২৬) ও রবিউল হাসান মামুন (২০)।
শনিবার বিকেলে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র স্মরণী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএনসি’র উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন রমনা সার্কেলের পরিদর্শক তমিজ উদ্দিন মৃধা।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিএনসি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইসমাইলের বাড়ি কক্সবাজারে। তিনি ‘এলিট ফোর্স’ নামক কোম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। গ্রেপ্তার জাকারিয়ার বাড়ি সাতক্ষীরায়। তিনি কাপড়ের ব্যবসা করতেন। আর গ্রেপ্তার রবিউলের বাড়ি কক্সবাজারে। তিনিও ‘এলিট ফোর্সে’ সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় দুই-তিন বছর আগে মাদক কারবারিতে জড়িয়ে গ্রেপ্তারের পর তাদের চাকরি চলে যায়। আর অতি লাভের আশায় ব্যবসা ছেড়ে মাদক কারবারিতে জড়িয়ে পড়েন রবিউল।
ডিএনসি’র রমনা সার্কেলের পরিদর্শক তমিজ উদ্দিন মৃধা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা গত ৩ থেকে ৪ বছর ধরে নিরাপত্তা কর্মী ও কাপড় ব্যবসায়ীর আড়ালে মাদক কারবার করে আসছিলো। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে ঢাকা ও গাজীপুরের মাদক কারবারিদের পাইকারী দরে সরবরাহ করতেন। সিকিউরিটি কোম্পানীতে গার্ডের চাকরি করায় তাদের কেউ সন্দেহ করতো না।
তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা একটি বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন। তারা কোনো নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন না। দ্রুত নাম্বার পরিবর্তন করতেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ও অ্যাপসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে অধিকতর অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/রাজু