ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

এসপি নাইমার মামলায় বাবুল আক্তারের রিমান্ড নামঞ্জুর

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৫

এসপি নাইমার মামলায় বাবুল আক্তারের রিমান্ড নামঞ্জুর
সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাবুল আক্তার।

রোববার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করছিলেন। শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেছেন। আমরা বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি মঞ্জুর করে প্রসিকিউশন শাখায় কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বাদি হয়ে মামলাটি করেছিলেন। তাতে আসামি করা হয় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, প্রবাসি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে।

এ মামলায় ৩ জানুয়ারি জামিন নিয়েছেন বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু। মামলাটিতে ইতোমধ্যে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া আসামি ইলিয়াস হোসাইন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। ওই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। ভিডিওতে নাইমা সুলতানার সম্পর্কেও বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া হয়। এ ঘটনার জেরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আরেকটি মামলা করা হয়। তবে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বাবুল আক্তারের করা মামলায় বাদিকে প্রধান আসামি করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। এর আগে দ্বিতীয় মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত