ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নাম-ধর্ম বদলে আত্মগোপনে ধর্ষক, ধরে আনলো পুলিশ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৭

নাম-ধর্ম বদলে আত্মগোপনে ধর্ষক, ধরে আনলো পুলিশ
ছবি: প্রতিনিধি

সুপন চন্দ্র দেবনাথ। ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কিন্তু ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশকে স্বীকারোক্তিতে বদলে ফেলেন নাম ও ধর্ম। সেখানে তিনি নিজেকে মো. সবুজ হিসেবে পরিচয় দেন। ঠিকানাও দেন ভুয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে কুমিল্লা থেকে ধরে আনল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার তাকে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ছাতিপট্টি এলাকার জুয়েলারি মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সুপন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার হেসাখাল কবিরাজ বাড়ির রাধাকৃষ্ণ দেবনাথের ছেলে। তিনি কুমিল্লার একেটি স্বর্ণের দোকানে কাজ করতেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় স্যানিটারির কাজের সূত্রে সবুজের সাথে পরিচয় হয় বাদীর পরিবারের সাথে। এরমধ্যে কোন এক সময় ভুক্তভোগী কিশোরীর সাথে সবুজকে কথা বলতে দেখলে তার মা বিষয়টি মেয়ের বাবাকে জানায়। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা সবুজকে ডেকে শাসাতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কিশোরীর বাবা সবুজকে থাপ্পরও দেয়। এতে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বছরের ২৮ জুলাই রাতে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগীর মা খুলশী থানায় মামলা করেন। এদিন পুলিশ সবুজকে গ্রেপ্তার করে প্রতিবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে। পরে সবুজ জামিনে এসে পালিয়ে যায়। এ মামলায় ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আদালত সবুজকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়।

খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, সুপন নোয়াখালী শহরে একটি কারখানায় স্বর্ণের গহনা তৈরির কাজ করতেন। মা-বাবার উপর অভিমান করে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন এবং লালখান বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। তবে কেউই তার আসল নাম-পরিচয় জানতো না। ধর্ষণের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সেখানে ভুয়া ভিন্নধর্মের নাম-ঠিকানা দেয় পুলিশকে। তার দেয়া নাম-পরিচয়ে অনুযায়ী মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিল হয়। পরে রায়ের পর সাজা পরোয়ানাও জারি হয়।

গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে তার ভুল নাম-ঠিকানা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে বলে জানিয়েছেন ওসি সন্তোষ কুমার। তিনি জানান, আসামির নাম লেখা ছিল ‘সবুজ এবং স্থায়ী ঠিকানা ছিল ফেনী।’ এছাড়া বর্তমান ঠিকানা দেয়া ছিল লালখান বাজার। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকবার অভিযান চালিয়েও ওই ঠিকানায় এই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ভিন্নধর্মী নাম-পরিচয় ব্যবহারের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদনসহ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে সাজামূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত