ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্কুলছাত্র আজিজুল হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১১

  নিজস্ব প্রতি‌বেদক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৭

স্কুলছাত্র আজিজুল হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১১
স্কুলছাত্র আজিজুল হত্যাকা‌ণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ১১ । ছবি: প্রতিনিধি

ঢাকার দ‌ক্ষিণ কেরাণীগ‌ঞ্জে স্কুলছাত্র আজিজুল হত্যাকা‌ণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী সাকিব ও আরমানসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সেইস‌ঙ্গে রহস‌্য উদঘাটন হ‌য়ে‌ছে এই হত‌্যাকা‌ন্ডের। এক‌টি ইজিবাইক চু‌রি‌ করা‌কে কেন্দ্র ক‌রে এই হত‌্যাকাণ্ড ঘ‌টে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাকিব, মো. সজীব, মো. আরমান, মো. আরাফাত, মো. হৃদয়, মো. সাইফুল, মো. সজীব, মো. জিতু, মো. ইব্রাহীম, মো. রায়হান গাজী ও মো. আজিজুর রহমান।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ১০ এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দীন বলেন, একটি পক্ষ ইজিবাইক চুরি করতো আরেকটি পক্ষ ইজিবাইকের গঠন ও আকার পরিবর্তন করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করেতো। আমরা এই দুই পক্ষের প্রায় সবাইকেই ধরতে পেরেছি। তাদের আরো সদস্য আছে রাজধানীতেই। এই চক্রটিকে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি তাদের পেয়েও যাবো।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম দিকে জানতে চেষ্টা করেছি, এরা কারা। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করি। তারপর তাদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরিদ উদ্দীন বলেন, প্রথমে দুজন ওঠে আজিজুলের ইজিবাইকে। কিছুদূর গেলে একই দলের আরো তিনজন ওঠে। আজিজুলের সঙ্গে তার প্রতিবেশি রবিউলও ছিলো। এ পর্যায়ে আজিজুলকে আসামীরা বলে বসুন্ধরা রিভারবিউয়ের বেতরে একটি গ্যারেজের ওখানে যেতে। সেখানে গেলে আজিজুলের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে চায় আসামীরা। সেসময় বাধা দিলে আজিজুলকে হত্যা করে আসামীরা ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নেয়। এসময় রবিউলকে ভয় ভীতি দেখিয়ে কাউকে এই ঘটনা না বলতে নির্দেশ দেয় আসামীরা।

তিনি বলেন, ইজিবাইকটি কয়েকহাত ঘুরে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই ২০ হাজার টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এই ঘটনার পরও বেশ কয়েকটি ইজিবাইক তারা চুরি করেছে। তাদের কাজই ছিলো ইজিবাইক ছিনতাই করা। এটাই তারা করতো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অপরাধীরা আরো ছিনতাই করেছে। কিন্তু কোনো মামলার আসামী না। তাদের মধ্যে একজনের নামে আগের একটি মামলা পাওয়া গেছে। বাকি কারো নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সেই থানায় আসামীদের হস্তান্তর করা হবে। থানা পুলিশ আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলা সুষ্ঠু ভাবে শেষ করবে।

কিশোর অপরাধীদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার এলাকাগুলোতে ঘনবসতি। এই এলাকায় ভাসমান মানুষ অনেক বেশি। স্থানীয়দের তুলনায় অপরাধীরা বেশির ভাগ ভাসমান। তাই অপরাধ করে অনেকেই পালিয়ে যায়। আমরা তারপরও চেষ্টা করছি এই কিশোর অপরাধীদের একটি নিভৃত করতে। তাদের বাবা মায়েরও সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত দুই মাসে আমরা দুটি বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছি। সেখানে অনেক কিশোরকে আমরা আটক করেছিলাম। কিন্তু যাদের বয়স ১৮ এর নিচে তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছি। আর যাদের বয়স বেশি তাদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি। এখন বাবা মায়েরও অনেক কিছু করার আছে। আমরা ধরি কিন্তু বাবা মা যদি বাচ্চাকে দেখে না রাখে তাহলে অপরাধে জড়াবেই। র‌্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পক্ষে আছে। যদি কেউ সঠিক পথে আসতে চায় তবে তাদের অবস্যই সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত