ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শিক্ষককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিলারে বেঁধে নির্যাতন

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

শিক্ষককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিলারে বেঁধে নির্যাতন
শিক্ষককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিলারে বেঁধে নির্যাতন। ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে আক্তার হোসেন বাবু নামে এক স্কুল শিক্ষককে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে বখাটেরা। নির্যাতনের ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় পেচা সুমনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন স্কুল শিক্ষকের ভাই মাসুদুর রহমান।

এর আগে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে জেলাজুড়ে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিক্ষককে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত শিক্ষক সদর উপজেলার পৌর শহরের লাহারকান্দির এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও রাজধানীর ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।

নির্যাতনের শিকার পরিবার সুত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন স্কুল শিক্ষক । শুক্রবার রাতে শহরের আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোটভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়বেটিস থাকায় রাতে হাটতে বের হন তিনি। এসময় পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০/১২জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চুরির অপবাদ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে হাত-পা বেধে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে খুঁটির সাথে হাত-পা বেধেঁ বর্বর নির্যাতন করছে পেচা সুমন। এসময় পাশে বেশ কয়েকজন যুবক বিষয়টি দাঁড়িয়ে দেখছে। নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. একে আজাদ বলেন, আক্তার হোসেন বাবুকে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থা সর্ম্পকে বলা যাবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত