পুলিশের উপর হামলা: সেচ্ছাসেবক নেতা রিমান্ডে
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯
বগুড়ায় সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য পদ হারানো নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ওরফে নুরুর ৬দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাকি ৮ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান।
তিনি জানান, থানায় হামলার ঘটনায় নুরুসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলের তিন দিনের রিমান্ড এবং অস্ত্র মামলায় নুরুর আরও তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
