ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কয়লা কেলেঙ্কারি

পেট্রোবাংলার ৭ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৩২  
আপডেট :
 ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৬:০০

পেট্রোবাংলার ৭ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেট্রোবাংলার সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য‌্য জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৩০ কোটি টাকার ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েবের ঘটনায় পেট্রোবাংলার ৭ কর্মকর্তাকে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

প্রথমে সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়- পেট্রোবাংলার উপমহাব্যবস্থাপক (মেনটেইনেন্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক; ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান এবং ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ।

দ্বিতীয় দফায় দুপুর দেড়টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়- পেট্রোবাংলার উপ ব্যবস্থাপক (মেনেটেইনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ।

সবশেষ দুপুর ২টার দিকে পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির দুদক কার্যালয়ে এলে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

গত ১৩ আগস্ট এই সাত কর্মকর্তাসহ পেট্রোবাংলার ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। বাকিদের আগামি ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ১ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম।

এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত