ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাণীনগরে ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০০

রাণীনগরে ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ১শ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টি বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিস এই ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেন। মাত্র ২৫-৩০ বছর আগে নির্মিত এই সব ভবনগুলোর কক্ষের ছাদের বিমে ফাটল ধরেছে। খুলে পড়েছে প্লাস্টার ও কংক্রিট। তাই এগুলোকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে।

অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এসব কক্ষে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। যে কোনো মুহূর্তে এইসব ভবন ধসে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। এমন আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এ ছাড়াও অনেক বিদ্যালয়ে রয়েছে টিনসেড বাড়ি। ফলে ঝড়ে যে কোনো সময় এগুলো ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। যেন তাদের দেখার কেউ নেই।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় একশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই সব বিদ্যালয় তৈরি করার সময় কোথাও মাটির ঘর আবার কোথাও টিনসেড কিংবা বাঁশের কঞ্চির বেড়া দ্বারা নির্মিত কক্ষে পাঠদান করা হতো। শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ১৯৯৩-৯৪ ও ৯৫ সাল নাগাদ এগুলোর মাটির ঘর কিংবা টিনসেডের ঘর ভেঙ্গে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

শিক্ষকরা বলছেন ভবন নির্মাণকালে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও ঠিকাদারদের অদক্ষতার কারণে মাত্র ২৫-৩০ বছরের মধ্যেই কোনো কোনো ভবনের সিলিং প্লাস্টারসহ কংক্রিট খুলে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ভবনের বিম ও সিলিংসহ ওয়ালে ফাটল ধরেছে।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে বাঁশের কঞ্চির বেড়া কিংবা টিনসেড দিয়ে স্কুলঘর নির্মিত। ঝুঁকিপূর্ণ এই সব ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আবার নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করতে থাকলে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঝুঁকিপুর্ণ ভবনের তালিকা করে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিসে প্রেরণ করেন।

এরপর মোট ৪১টি বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ন হিসাবে চিহ্নিত করে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিস। এইসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি তালিকাসহ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এ ব্যাপারে সরদারকয়া ও বারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শখিন উদ্দিন, দামুয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, ভবনগুলো ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় সব সময় আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। দ্রুত এই সব বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সব ভবনগুলো ঝুঁকিপুর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকাসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত