ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

নারী আইনজীবী খুনে মাওলানা আটক

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৯, ১৬:৩৮

নারী আইনজীবী খুনে মাওলানা আটক

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নারী আইনজীবী খুনের ঘটনায় মাওলানা তানভীর আহমদ (৩৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় শ্রীমঙ্গলের বরুনা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটকের পর মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস সালেক।

পুলিশ জানায়, আটক তানভির নিহত আইজীবীর বাবার বাসার বাড়াটিয়া। তিনি পার্শ্ববর্তী মাধবগুল জামে মসজিদের ইমাম। আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ময়নুল আলমের ছেলে।

নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানাকে (৩৫) রোববার হত্যা করা হয়। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। রোববার বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদ (৩০) পলাতক ছিলেন।

থানা পুলিশ, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দ্বিতীয় মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন।

আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে বিবাহিত। তাদের মধ্যে আবিদা সুলতানা (৩৫) বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন।

এদিকে তাদের পৈতৃক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে তানভীর আহমদ থাকতেন। ২৬ মে রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়িতে থেকে জরুরি প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে যান। বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না।

পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামে আসেন। কিন্তু বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এসময় বাড়ির একটি কক্ষ তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে বোনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহত আবিদার বোনের স্বামী মারুফ আহমদ বলেন, আবিদা আপা মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য সকালে আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। দু’দিন আগে তিনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রোববার সকালে সেখান থেকে বাবার বাড়িতে যান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।

এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ভাড়াটিয়া তানভিরের মা ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত