ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শুধু দালান দেখি, গবেষণা দেখি না: প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩১

শুধু দালান দেখি, গবেষণা দেখি না: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু দালান দেখি, কিন্তু গবেষণা তো দেখি না। বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমও বাড়াতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন থেকে যেসব জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে তার আশেপাশের যত সরকারি কলেজ থাকবে সবগুলো ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে।

এসময় তিনি তিতুমীর কলেজের মাঠটিকে তিনি মাঠ হিসেবেই রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে যাতে কোনো অবকাঠামো না হয় সে জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন।

দেশের ২৬৭টি জরাজীর্ণ ডাকঘর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলোর সংস্কার পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ডাক বিভাগ। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ডাক বিভাগের বিষয়ে একনেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাক বিভাগকে আধুনিক করতে হবে। তাদের নিজস্ব চিন্তা দিয়ে ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। যাতে তারা নিজেরাই আয় করতে পারে। তা না হলে ডাক বিভাগ আগামীতে আর থাকবে না। সারাজীবন তাদের এভাবে চালানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগারগাঁও এ নতুন জিপিও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি যেন সবুজ পার্ক হয়। সেখানে যেন মানুষ অবসরে ঘুরতে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্রিফিং এ জানানো হয়, বাংলাদেশের ডাক অধিদফতর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের শহর অঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে আসছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ ডাকঘর অতি পুরাতন এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দাপ্তরিক কাজসহ ডাক সেবা দেওয়া দুরহ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ডাক সেবা নিশ্চিতে জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রথম পর্যায়ে মোট ৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত খরচে ২০০৮ সালের জুলাই হতে ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলোর নির্মাণ, পুন:নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশের ডাক অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১০৪টি জরাজীর্ণ ডাকঘর সংস্কার পুন:নির্মাণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার একনেকে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৪১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৮৯ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, বগুড়া-নাটোর জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭০৭ কোটি টাকা। ঢাকা-উথুলি-পাটুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক আমিন বাজার হতে পাটুরিয়ার ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকা ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন ও বাস-বে নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। লাকসাম –বাইয়ারা বাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গরকোট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬১ কোটি টাকা। মডার্নাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম এ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চিটাগাং সিটি করপোরেশন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলোর সংস্কার পুনর্বাসন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৮৭ কোটি৭৯ লাখ টাকা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ এবং ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৬ কোটি টাকা। বিএডিসির বিদ্যমান সার গুদামসমূহের রক্ষণাবেক্ষন, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩১১ কোটি টাকা।

নদী তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬০৯ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার এর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার ৯টি ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারন ও শক্তিশালী করণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত