ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

শসা চাষে লাভবান নড়াইলের কৃষকরা

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪১

শসা চাষে লাভবান নড়াইলের কৃষকরা

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় নড়াইলে দিন দিন শসার আবাদ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকেরা। শসা চাষ করে এখানকার কৃষকরা পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা। শসার দাম ভাল পাওয়ায় খুশি চাষিরা।

জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়া, বিছালী, মুসুড়ি, মুলিয়া, শেখহাটিসহ অন্তত ১০ গ্রামের কৃষকেরা শসা চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা, হয়েছেন সাবলম্বী। জমি-মাচা তৈরিকরাসহ এক একর জমিতে খরচ হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। সেখানে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার শসা উৎপাদন হয়। প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৪ শ থেকে ৫ শ টাকা আর উৎপাদন হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। বীজ রোপনের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু হয়ে যায়। শসার আবাদ ভালো হওয়ায় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে শসার কেনা-বেচার মৌসুমী আড়ত। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে শসা তুলে এনে আড়তে বিক্রি করছেন। বেকার যুবক-মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এখানকার শসা। স্থানীয় বাজারের ক্রেতারা টাটকা-তাজা শসা কিনতে পেরে খুশি।

আকদিয়া গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বর্তমানে ধান বা পাট চাষে লাভ হয়না লোকসান হয়। পাট বা ধানের তুলনায় শসা চাষে ৩-৪ গুন বেশী লাভ হয় বলে আমরা শসা চাষ করি। তিনি আরও বলেন, পাইকারি প্রতিকেজি শসা বর্তমানে ৩০-৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বিছালী গ্রামের তপন বিশ্বাস বলেন, শষা চাষে প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৫ শ থেকে ৬ শ টাকা আর খরচ বাদে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা লাভ হয়।

ক্ষেতে কাজ করা সঞ্চিতা বিশ্বাস বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাড়ির কাজের পাশপাশি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তু শসা ক্ষেতে কাজ করে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ টাকা আয় করে থাকি। এতে আমাদের পরিবারের আর্থিক সমস্যা অনেকটা মিটে যাচ্ছে।

যশোর থেকে আসা পাইকারি শসা ক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, এখানকার শসা কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে পাইকারি প্রতিমন শসা ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা করে কিনে নিয়ে আমরা ১৭০০ থেকে ১৮০০ পর্যন্তু বিক্রী করি এতে আমাদের ভালো লাভ হয়।

শহরের রুপগঞ্জ বাজারের কাচামাল ব্যবসায়ী বিন্দু বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রী হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রী করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নড়াইল সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, জেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। অনান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় অনেকেই শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছে এখান কার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত