মহাষ্টমী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৬
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী আজ রবিবার। মহাষ্টমীই শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। গতকাল শনিবার ছিল মহাসপ্তমী। শনিবার সকাল এগারোটার মধ্যেই সপ্তমীর পূজা শেষ হয়েছে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এরপর আরতির থালা থেকে ধোঁয়া মাখা আশীর্বাদ নিয়েছেন দেবী দুর্গার ভক্তরা। বিনিময়ে দেবীর পায়ে পড়েছে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি। সপ্তমীর পূজা পরিচালনা করেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রণজিৎ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, মহাসপ্তমীতে এই আচারের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কৃষি, খনিজ, বনজ, জলজ, প্রাণিজ ও ভূমিসম্পদ রক্ষার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। সপ্তমীলগ্নে নবপত্রিকা প্রবেশ একটি ‘প্রতীকী’ পূজা। ‘নবপত্রিকা’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নয়টি গাছের পাতা । এ পূজায় কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান এ নয়টি উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে একত্র করা হয়। পরে একজোড় বেলসহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড়ের সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তার কপালে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবী প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম ‘কলাবউ’। নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। দুর্গা প্রতিমার সামনে একটি আয়না রেখে তাতে প্রতিফলিত প্রতিবিম্বে বিভিন্ন উপচারে দেবীকে স্নান করানো হয়।
ঢাকাসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের মহোৎসব। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত এই আনন্দে মাতোয়ারা। শারদীয়া দুর্গোৎসবের মাধ্যমে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায় নয়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে সামিল হয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই