ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি হরিলুট!

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫৮

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি হরিলুট!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার ভাইসহ এলাকার প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দেওয়ানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের জমি এবং রাস্তার জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে রাস্তায় যানবাহন নিয়ে চলাচলকারীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কলিয়া-তালা ভায়া কেসমতঘোনা সড়কের পাশে ৮১ শতক জমিতে অবস্থিত দেওয়ানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির পূর্ব পাশে দেওয়ানিপাড়া বাজারসহ একটি সরকারি রাস্তা রয়েছে।

সরকারি রাস্তা এবং বিদ্যালয় ভবনের মধ্যস্থলের ফাঁকা জমি এর আগে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করলে ১/১১ সরকার সেই মার্কেট উচ্ছেদ করে জমি উদ্ধার করে।

পরে স্থানীয় নেতা আলতাফ হোসেন সরদার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি আলতাফ হোসেন সরদার এবং তার ভাই আক্কাস সরদার, মুসা সরদার, নাজের সরদার, একই এলাকার রেয়াজুদ্দিন সরদার, ছিদ্দিক সরদার, আনসার সরদার ও শফিকুল সরদারসহ কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে মার্কেট নির্মাণ করেন।

দখলকারীরা বিদ্যালয়ের জমিসহ জনগুরুত্বর্পূ রাস্তার একাংশ দখল করে উঁচু পাকা দোকানঘর নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের ভবনে পূর্ব পাশ দিয়ে আলো-বাতাস প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হয়ে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া সরকারি রাস্তার ওপর দোকন নির্মাণ করায় যানবাহনে চলাচলকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিদ্যালয়ের জমি দখল বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

তবে, এই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুর রব বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সরকারি রাস্তা থেকে শুরু হয়ে ৮১ শতক জমি রয়েছে। বিদ্যালয়ের জমিতে ওই মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের সভাপতি আলতাফ সরদার বলেন, ‘রাস্তার কিছু এবং বিদ্যালয়ের সামান্য জমির ওপর দোকানগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, সেখানে তার নিজস্ব কোনও দোকান নেই বলে দাবি করেন তিনি।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ‘জমির চৌহদ্দি ও দখলীয় পরিমাণ নির্ণয় করে সার্বিক অবস্থার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। তবে, দীর্ঘ ১৫ দিন পার হলেও প্রধান শিক্ষক সেই প্রতিবেদন দেননি বলে জানা গেছে।’

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয় ও রাস্তার জমিতে মার্কেট করে টিকে থাকার কোনও সুযোগ নেয়। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত