করোনা থেকে মুক্তি পেতে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে এমন বিশ্বাসে অনেকেই এখন মাথা ন্যাড়া করা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এমন অন্ধ বিশ্বাসে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার শত শত যুবক এরইমধ্যে মাথা ন্যাড়া করেছেনও।

এমনকি সেই ন্যাড়া মাথার দলগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও করেছেন অনেকেই।

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবস্থান করতে বলা হয়েছে বাসা-বাড়িতেও। এই সুযোগে অনেককেই মাথা ন্যাড়া করতে দেখা গেছে। মাথার চুল ফেলে কেউ বাসায় অবস্থান করছেন। আর সেই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন।

উপজেলার কচুয়া গ্রামের মাথা ন্যাড়া করা ইব্রাহিম শিকদার, নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন সবাইকে বাসা-বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। কতদিন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে নিয়েছি।

আবার এই গ্রামের অনেকে বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে তারা মাথা ন্যাড়া করছেন।

কেউ কেউ আবার বলছেন, সরকারি নির্দেশনায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সেলুনগুলোও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন সেলুনে যেতে না পারায় মাথায় চুল বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া গরমের এই সময়ে চুল বেড়ে গিয়ে মাথা চুলকাচ্ছে। তাই বাড়িতে বসেই মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন তারা।

এ বিষয়ে সখীপুর বাজারের নরসুন্দর কানাই লাল শীল জানান, সরকারি নির্দেশে বাজারের সেলুন ঘরটি এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই সংসার চালাতে খুব হিমসিম খেতে হচ্ছে। বাড়ি গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার জন্য দু-একজন ফোন দিচ্ছেন। পরিচিত মানুষ হলে তাদের বাড়িতে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে আসছি। তবে বিদেশফেরত যারা তাদের মাথা তিনি ন্যাড়া করেননি এমনকি করবেনও না।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে গণহারে ন্যাড়া করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে মাথা ন্যাড়া করার সঙ্গে করোনাভাইরাস ঠেকানোর কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি আরো বলেন, মাথা ন্যাড়া করলেই যে ভাইরাসে সংক্রমিত হবে না এর সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনো ভিত্তি নেই। বিষয়টি হাস্যকর। এসব গুজব এড়িয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ