ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাসিক বেতন ও সেমিষ্টার ফি মওকুফ চায় জবি শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৫:০৪  
আপডেট :
 ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৪৯

মাসিক বেতন ও সেমিষ্টার ফি মওকুফ চায় জবি শিক্ষার্থীরা

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। কিছু সুবিধা থাকলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই আবাসিক হল। সেজন্য ঢাকার বাহিরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদেরই থাকতে হয় মেসে।

করোনাভাইরাসে এই পরিস্থিতিতে মাসিক বেতন ও সেমিষ্টার ফি মওকুফ চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর শিক্ষার্থীরা। করোনা পরিস্থিতিতে মাসিক খরচ জন্য জুটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে শিক্ষার্থীরা এমন দাবি করেছেন বলে জানান তারা।

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও দিতে হবে মেসে ভাড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশই টিউশনির টাকায় মাসিক খরচ চালায়। এমন পরিস্থিতিতে টিউশন না থাকায় তাদের তাদের ম্যাস ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ চালাতে বেশ অসুবিধাই হয়ে পড়ছে। সেজন্য অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক বেতন ও সেমিষ্টার ফি মওকুফের দাবি জানাচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মানুষের অায় রোজগারেও! এক্ষেত্রে হলবিহীন জবিয়ানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি নিয়েও বিপাকে পড়বে । এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি করছি সেমিস্টার ফি,পরীক্ষার ফি যেনো মওকুফ করা হয়! অাশা করছি অভিভাবকসূলভ পদক্ষেপ অাবারো অামরা দেখতো পাবো!

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এমনিতেই অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি মাসে,শুধুমাত্র থাকা খাওয়ার জন্য প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়।যার বেশিরভাগ টাকাই শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের টিউশন না থাকায় এই টাকাও পাওয়া সম্ভব না।ফলে ঘর ভাড়াসহ বাসার যাবতীয় বিল আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি সব মিলিয়ে অনেক বড় চাপ হয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের জন্য।তাই বিশ্ববিদ্যালয় যদি অন্তত টিউশন ফি মওকুফ করে সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারের হবে এবং তাদের উপর চাপও কমে পড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বাড়ি ভাড়া শিক্ষার্থীদের পার্সোনাল ব্যাপার।সরকার বছরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজেট দেয় এবং সেই হিসেবেই চলে। ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের যাদের অবস্থা খারাপ তাদের আমাদের পহেলা বৈশাখ ও স্বাধীনতা দিবসের বাজেট দিয়ে সাহায্য করেছি।মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি। জরিমানা ও সেমিষ্টার ফি বিষয়ে বলেন, জরিমানা ফি মওকুফ ও সেমিস্টার ফি এর ব্যাপারে মিটিং এ আলোচনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ঢাবির ৪০ হাজার স্টুডেন্ট এর ২০ হাজার আবাসিক থাকে আর ২০ হাজার বাইরে থাকে আর আমাদের ২০ হাজার স্টুডেন্ট বাইরে থাকে।সরকার যদি কিছু করে তবে সেটাও আমরা মেনে চলব।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত