ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধান শিক্ষককে লাথি মারলেন শিক্ষা অফিসার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪৭

প্রধান শিক্ষককে লাথি মারলেন শিক্ষা অফিসার

গোপালগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গত ৩ অক্টোবর এবং ৫ অক্টোবর দুই দফায় ওই শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক কোনো বিচার পাননি। উল্টো উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই প্রধান শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের একটি অফিস আদেশে বলা হয়, ২৮ নং উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ দায়ে বিধি ১২ (১) অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস অভিযোগ করেন, উন্নয়ন বরাদ্দের ব্যয়সহ নানা বিষয় নিয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরেই মার খেয়ে উল্টো বরখাস্ত হতে হয়েছে তাকে।

অপরদিকে, দুটি ঘটনারই প্রত্যক্ষদর্শী শিল্পী খানম ও শিপ্রা বিশ্বাস একরমের আতঙ্ক নিয়েই সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন, তাদেরকে দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত নেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তারা কেঁদে ফেলেন এবং বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর যে হামলা হয়েছে তা মর্মস্পর্শী এবং চরম অমানবিক।

ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জুলফিকার বেগম বলেন, তার সামনেই শিক্ষা অফিসার কিছু না বলেই প্রধান শিক্ষককে লাথি মারেন। এটা অত্যন্ত অমানবিক। এরপর তাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আবার বরখাস্তও করা হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মহিদুল আলম মাহাত্তাব খান প্রধানশিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন, এ অভিযোগ অবান্তর। সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিয়ে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে এলোমেলো কথা বলে মোবাইলে ভিডিও করতে শুরু করে। তাই তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ভিডিও চিত্র মুছে ফেলা হয়েছে কিন্তু তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।

এদিকে, অভিযুক্ত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম কুমার রায়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে তিনি হকচকিয়ে যান এবং হাত জোড় করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে অফিসকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত