ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে আমরণ অনশন করবে শিক্ষক ফোরাম

  নিজত্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৪১

৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে আমরণ অনশন করবে শিক্ষক ফোরাম
শিক্ষক ফোরামের আন্দোলন। ফাইল ফটো

১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের জন্য চলতি বছরের নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম। বিষয়টি জানিয়ে ২৮ নভেম্বর ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ই এপ্রিল এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও সচিব বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশীদের এপ্রিলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নিশ্চয়তা দেন। পরবর্তীতে ১৬ মে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশীরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করে। একইদিন পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান নভেম্বরে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আশ্বাস দিলেও প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার কারণ অধিদপ্তর গুলোর শূন্যপদসমূহ যাচাই বাছাই করতে বিলম্ব হওয়া৷

চলতি মাসের ১০ তারিখে গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের প্রতীকী অনশনে এনটিআরসিএ'র চেয়ারম্যানের আরেক দফা আশ্বাসে অনশন ভাঙলেও আদতে আশার আলো দেখছেন না বলে জানিয়েছেন অনশনকারী রা। তবে চলতি মাসেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে পুনরায় এনটিআরসিএর সামনে আমরণ অনশন করবে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশীরা।

দাবি উঠছে, ১৬তম শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অসংখ্য চাকরি প্রত্যাশীর বয়সের কোটা ৩৫ এর গন্ডি পেরুলেও মিলছে না শিক্ষক নিয়োগের ফলপ্রসূ বিজ্ঞপ্তি।

বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি রাশেদ অর্ণব নামের একজন ভুক্তভোগীর। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক হবার আশা নিয়ে নিবন্ধন পাশ করেছি। আর কত ধৈর্য্য ধরবো? বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের কাছে মুখ দেখাতে পারি না। অসুস্থ বাবা মা কে সাহায্য করতে পারি না। ১৬তমদের প্রতি এত অবিচার কেন?

শিক্ষক হওয়ার আশায় এখনো বিয়ে করছেন না মাজেদুল ইসলাম৷ মাজেদুল বলেন, ভেবেছিলাম শিক্ষক হবার পর বিয়ে করবো। কিন্তু এই অপেক্ষার প্রহর কবে শেষ হবে আর কবেই বা আমাকে কেউ পাত্রী দেবে? বেকারের সাথে কেউ বিয়ে দিতে চায় না।

১৬তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশকৃত আরেক প্রার্থী এম এ আলম বলেন, সংসারে অভাব অনটনের কারণে আজ বেকার হয়ে সামান্য কয়টা টিউশনির টাকায় অসহায় লাগে নিজেকে। টিউশনিও কেউ দিতে চায় না। শিক্ষক না হলে টিউশনিও পাওয়া যায় না। কখন এই বেকারত্বের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবো?

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত