ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বশেমুরবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৩৮  
আপডেট :
 ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪৩

বশেমুরবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ভর্তি পরীক্ষায় প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত দুটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যার স্মারক নং বশেমুরবিপ্রবি/র/জ.প্র/৪১/১২০৮ (১২, তাং-১৭.১১.২০১৯ এবং বশেমুরবিপ্রবি/র/জ.প্র/একা/৪১/১২০৭ (১৫), তাং-১৭.১১.২০১৯।

ওই অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের রাফিজুর ইসলাম, নুরউদ্দিন নাহিদ, আরিফুল ইসলাম সাকিব, মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিশন, রাহাত আল আহসানকে স্থায়ীভাবে একাডেমিক বহিস্কার ও ইসমাইল শেখকে দুই সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক বহিষ্কার (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯, জানুয়ারী-জুন-২০২০) করা হয়েছে।

অপরদিকে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত থাকার দায়ে এমবিএ, এআইএস বিভাগের বাবু শিকদার বাবু, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের মোঃ নয়ন খান, নিয়ামুল ইসলাম, মনিমুল হক, আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের অমিত গাইন, একই বিভাগের ২য় বর্ষের মানিক মজুমদার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের রনি খানকে দুই সেমিষ্টার ও আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর এ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে আনুমানিক দুপুর আড়াইটার সময় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ভর্তি প্রতারক চক্রের ১৪ সদস্যকে আটক করা হয়। ওই প্রতারক চক্রের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় ৭ ছাত্রকে দুই সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক বহিস্কার ও হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

রেজিস্টার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পুণঃ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড ৬ শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষায় প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত থাকার দায়ে ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। ইতিমধ্যে তাদেরকে ক্লাসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের প্রত্যক্ষ মদদে বিগত ২১ অক্টোবর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার একদিন পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ৩০ অক্টোবর ভিসি পদত্যাগ করায় ওই তদন্ত কমিটি রিপোর্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব থাকায় সম্প্রতি পুণঃ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের “এ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জালিয়াতির অভিযোগ ৫ শিক্ষার্থীসহ প্রতারক চক্রের ১৪ সদস্যকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত