ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিতুমীরের ফুট ওভারব্রিজে লাগছে সংস্কারের ছোঁয়া

  ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৪১

তিতুমীরের ফুট ওভারব্রিজে লাগছে সংস্কারের ছোঁয়া

ষাট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তিতুমীর কলেজ। তিতুমীর কলেজের (জিটিসি) প্রধান ফটকের ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে আছে ফুট ওভারব্রিজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই ফুট ওভারব্রিজটি। ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থীদের এখানে আড্ডাও দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের কোলাহল আর আড্ডায় মেতে উঠা ফুট ওভারব্রিজটি নিয়ে রয়েছে অনেকের স্মৃতিকথন।

করোনার প্রকোপে ক্যাম্পাস এখন বন্ধ। আর তাই ফুট ওভারব্রিজটিও অনেকটা ফাঁকা। দেয়া হয় না আড্ডা নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা।

রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে প্রতিটি ফুট ওভারব্রিজে দৃষ্টিনন্দন গাছ লাগানো হয়েছিলো যা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ’ প্রকল্পের আওতাধীন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যার অভাবে গাছ গুলো আর আগের অবস্থায় নেই। নষ্ট হয়ে গেছে ফুট ওভারব্রিজের লাইট উঠে গেছে রং। আর তাই ব্রিজটির সৌন্দর্য আবারো আগের মত ফুটিয়ে তুলতে সংস্কারের কাজ চলছে।

তথ্যমতে, ফুট ওভারব্রিজটিতে নতুন করে রং করা হবে। এছাড়া যে লাইট গুলো নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো ঠিক করা হবে। পাশাপাশি ফুট ওভারব্রিজে ফুলের গাছ লাগানোর জন্য টব বসানো হবে। সংস্কারের জন্য দিন রাত কাজ করছে শ্রমিকরা। ফুলগাছের স্ট্যান্ড গুলো নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। তবে গাছ লাগালেও পরিচর্যা করার কেউ না থাকায় অনেকেই আবার গাছের ফুল কিংবা ডাল ভেঙে এর সৌন্দর্য নষ্ট করে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের ফলে আবারো প্রাণ ফিরে পেতে পারে ফুট ওভারব্রিজটি।

ফুট ওভারব্রিজটির বিষয়ে কথা হয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সাদিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ফুট ওভারব্রিজটির সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। একদিকে যেমনে রাস্তা পার হতে সাহায্য করে তেমনি এখানে বসেই বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে আড্ডাও দেয়া হয়।’

কথা হয় দর্শন বিভাগের রনি নামে আরেকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সে জানায়, ‘ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও সবাই কে ব্যবহার করতে দেখা যায় না, অনেকেই বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে যায়। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়বে। তাছাড়া ব্রিজটির আরো সৌন্দর্য বর্ধনের প্রয়োজন।’

তানিশা নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘ব্রিজটি প্রতি বছরই সংস্কারের প্রয়োজন।’

মহাখালী-আমতলী থেকে গুলশান যেতে এই ব্যস্ত সড়কের একটি মূল পয়েন্টে রয়েছে ব্রিজটি। তিতুমীর কলেজ ছাড়াও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ব্রিজটির পাশে। তাই প্রশাসনের দরকার প্রতি বছরই ব্রিজটি সংস্কার করা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত