ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বুয়েটে বিক্ষোভকারীদের ‘জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা’ বললেন জয়

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৫:২০

বুয়েটে বিক্ষোভকারীদের ‘জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা’ বললেন জয়
ছবি: প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা ও দু'আ আয়োজনের বিপরীতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ‘জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা’ আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় পুনরায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবিতে করা মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন জয়।

তিনি বলেন, দেশের জন্য বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দরা কাজ করেছে। কিন্তু ‘জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা’ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সাথে বেয়াদবি করেছে। এ ধরণের বেয়াদবদের থেকে কখনো ভালো কিছু বয়ে আসবে না। জাতির পিতা এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। তাকে নিয়ে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাবে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েট প্রশাসনকে আবারো বলবো ছাত্র রাজনীতি সচল করে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য আপনারা পদক্ষেপ নেবেন। তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আপনাদেরকে অনুরোধ করছে।

তিনি আরও বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা যারা মাথাচাড়া দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হবে। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অনুরোধ করবো, যারা বঙ্গবন্ধুর শোকের প্রোগ্রাম বানচাল করার প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে তাদেরকে আপনারা খুঁজে বের করুন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা করা উচিত।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবি জানান। এই রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলে জানায়।

আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্রলীগের সভা, ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল সাবেক নেতৃবৃন্দ। আবরার ফাহাদ হত্যার পর এখনো পর্যন্ত বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। সেই সূত্র ধরে ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষোভ করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আবরারের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত