ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনায় অবকাশ কাটাতে ধনীরা দ্বীপের খোঁজে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২০, ২৩:১৫  
আপডেট :
 ২৭ মে ২০২০, ০০:৫৩

করোনায় অবকাশ কাটাতে ধনীরা দ্বীপের খোঁজে

করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকলেও বন্ধ থাকছে না ধনীদের অবকাশ যাপন। সিএনএন এর প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশ্বে অবকাশ যাপনের কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও ‘প্রাইভেট আইল্যান্ড’গুলোর চাহিদা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। করোনার ছায়া এড়িয়ে যে অল্প কিছু মানুষের পক্ষে বিপুল পরিমাণ খরচ বহন করা সম্ভব, তারাই এখন নতুন উৎসাহে এ বিলাসী পথ অন্বেষণ করছেন।

ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা জানায়, মার্চ থেকেই সম্ভাব্য ক্রেতা ও ভাড়া নিতে সক্ষম ধনী ব্যক্তিদের বেসরকারি মালিকানার দ্বীপে ঠাঁই নেওয়ার ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

অন্টারিও রিয়েল এস্টেট কোম্পানি প্রাইভেট আইল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ক্রিস ক্রোলোউ জানায়, মহামারীর আগে দিনে দ্বীপ ভাড়া বা বিক্রি সংক্রান্ত ১০০টা অনুসন্ধানের জবাব দেওয়া লাগত, আর এখন জবাব দিতে হয় গড়ে দেড়শ অনুসন্ধানের।

তিনি জানায়, নিজ কোম্পানির হাতে বিক্রি কিংবা ভাড়া দেয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে ৮০০’রও বেশি দ্বীপ আছে। যদিও সবগুলোর প্রতিই সম্ভাব্য ক্রেতা বা ভাড়াটের আগ্রহ সমান নয়। বেশিরভাগেরই চাহিদা ক্যারিবীয় অঞ্চল কিংবা মধ্য আমেরিকার কোনো একটি দ্বীপ। সম্ভাব্য ক্রেতা ও ভাড়া নিতে ইচ্ছুকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নাগরিকই বেশি।

করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রোলোউর মালিকানাধীন বেলিজের গ্লাডেন দ্বীপের চাহিদা আকাশচুম্বী হতে থাকে। গ্লাডেন এমনিতেই বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু এখন চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্যও দ্বীপটি ‘বুকড’ বলেও জানান ক্রোলোউ।

লেন ক্রোলোউ বলেন, আপনি যদি দ্বীপে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে, চুক্তি করতে হবে আমলাদের সঙ্গে। এছাড়া বাড়ি কেনা আর দ্বীপ কেনার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আপনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

ব্রোকার এবং ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই মুহুর্তে ক্যারিবীয় অঞ্চলের মধ্যে বাহামার দ্বীপগুলোই ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত।

ডেমিয়েনোস সোথবিস ইন্টারন্যাশনাল রিয়েলটির ব্রোকার নিক ডেমিয়েনোস জানান, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর পাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাইভেট আইল্যান্ড কিনতে আগ্রহীদের অনুসন্ধানের পরিমাণ আগের দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে তারা মাসে ১২ থেকে ১৫টি অনুসন্ধানের জবাব দিতেন, এখন দিতে হয় ৩০টিরও বেশি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত