ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

চীনা নজরদারিতে মোদিসহ ভারতীয় নেতারা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৪২  
আপডেট :
 ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১৬

চীনা নজরদারিতে মোদিসহ ভারতীয় নেতারা

ভারতে গুপ্তরচরবৃত্তি ও চীনা সেনাদের এপ্রিলের আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া নিয়ে আটকে আছে লাদাখ সংকট সমাধানের পথ। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি দেশটির প্রায় এক হাজার ৩৫০ জন রাজনীতিবিদসহ ১০ হাজার মানুষের উপর চীন গুপ্তচরবৃত্তি করছে। যার আওতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বেশ কিছু মুখ্যমন্ত্রী আছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে ভারতের দাবি এপ্রিলের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে চীনা সেনাদের। ভারতীয় সেনা সূত্র জানায়, চীনা সেনার সঙ্গে আগামী বৈঠকে এ কথাই জানাতে পারে ভারতীয় সেনা।

সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে চীন ৷ যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ তিন নাম্বারে আছে চীন আর ভারত আছে চার নাম্বারে।

গত সপ্তাহে মস্কোয় প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে ভারত এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছিলেন পাঁচটি পয়েন্টে লাদাখ সংকট অবসানের চেষ্টা করা হবে।

তারা জানিয়েছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। তবে স্থানীয় স্তরে এ বিষয়ে ফের বৈঠকে বসবেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। তারাই কী ভাবে সেনা সরানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই দুই দেশের কোর কম্যান্ডার স্তরের সেনা এ বিষয়ে আলোচনায় বসবেন। এর আগেও লাদাখের চুসুলে তারা একাধিক বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এ বারেও সমাধান সূত্র মিলবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

এদিকে ভারতীয় সেনার এক কর্মকর্তা জানায়, সমাধান সূত্রে পৌঁছনোর জন্য চীনের সেনার কাছে একাধিক দাবি পেশ করবে ভারতীয় সেনা। সেখানে এপ্রিলের আগে চীনের সেনার যে অবস্থান ছিলো, সেখানে ফিরে যেতে বলা হবে। যার অর্থ, প্যাংগংয়ের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কাঠামোসহ ফিরে যেতে হবে পিপলস রিপাবলিক আর্মিকে। সরিয়ে নিতে হবে যুদ্ধাস্ত্র, বিমান এবং মিসাইল।

ভারতীয় সেনার প্রাক্তন লেফটন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, শীতের সময় লাদাখে সেনা এবং যুদ্ধাস্ত্র এবং রসদ পাঠানো অত্যন্ত কঠিন। ভারত এবং চীন দুই পক্ষই সে কারণে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে রাখতে চাইছে। যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র এবং রসদও মজুত করে রাখতে চাইছে। চীনকে এপ্রিলের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে বলা মানে যাবতীয় রসদ ফিরিয়ে নিতে বলা। চীনের সেনা আদৌ তাতে সম্মত হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত