ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

শর্ত মেনে আলোচনায় যাবেন না পুতিন: ক্রেমলিন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪৪  
আপডেট :
 ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:২১

শর্ত মেনে আলোচনায় যাবেন না পুতিন: ক্রেমলিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সংঘাত অবসানের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তবে কোন শর্ত মেনে নেয়া হবেনা বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে মন্তব্য করার একদিন পর শুক্রবার এ বিষয়ে তাদের মতামত জানালো ক্রেমলিন।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজতে তিনি পুতিনের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। তবে প্রথমেই ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনীকে সরিয়ে আনতে হবে এবং পুতিন যদি সংঘাতের অবসানে আলোচনায় রাজি থাকেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে বাইডেনের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট আমাদের স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তবে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে তার সৈন্য সরিয়ে নেয়ার শর্ত মেনে নেয়া হবে না।

আলোচনার জন্য বাইডেনের শর্তগুলো রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব ছিল কিনা জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, সারাংশে বাইডেন এটাই বলেছেন রুশ সেনারা ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরেই আলোচনা সম্ভব। তবে আমরা এটি কখনও মেনে নিতে পারবো না এবং ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পেসকভ আরও বলেন, আমাদের স্বার্থ অর্জনের সবচেয়ে পছন্দের উপায় হল শান্তিপূর্ণ, কূটনৈতিক উপায়। কিন্তু আলোচনার জন্য পারস্পরিক ভিত্তি কঠিন কারণ রাশিয়ার দখল করা নতুন অঞ্চলের স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। পেসকভের দাবি, নতুন অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ান হিসাবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকৃতি যে কোনও সম্ভাব্য সমঝোতায় বাধা সৃষ্টি করছে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তবে এই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আয়োজন করা মিটিংও ছিল। যেগুলো যুদ্ধ অবসানে কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধস্থতায় একটি থেকে শস্য রপ্তানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বরাবরই বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন ততক্ষণ মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে পারবে না কিয়েভ।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত