ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পার্লামেন্টে এবার মরিচের গুঁড়া ছোড়াছুড়ি!

পার্লামেন্টে এবার মরিচের গুঁড়া ছোড়াছুড়ি!

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে শুক্রবারও ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবার সে দেশের পার্লামেন্টে সদস্যরা পরস্পরের ওপর মরিচের গুড়া এবং চেয়ার ছুড়ে মারেন বলে জানা গেছে। মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্টে পুলিশ প্রবেশের নজিরবিহীন ঘটনাও ঘটেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন পার্লামেন্ট দু পক্ষের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা নতুন নয়। তবে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মরিচের গুড়া ছুড়ে মারার ঘটনাটি অভিনব।

এর আগে গত বৃহস্পতিবারও দুই দলের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। একদিন পর পার্লামেন্ট অধিবেশনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তবে শুক্রবারের মারামারি আগের দিনকে ছাড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অধিবেশনের শুরুতেই নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসেকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। তখন দুই দলের সদস্যরা পরস্পরের দিকে মরিচের গুঁড়া ছুড়েন। এসময় অনেক সদস্যকে চোখ ডলতে দেখা যায়।

একপর্যায়ে তারা আছাড় মেরে সংসদের চেয়ার ও টেবিল ভেঙে ফেলতে শুরু করেন। এরপর তারা চেয়ার টেবিলের ভাঙা অংশগুলো লাঠি হিসেবে ব্যবহার করে পরস্পরের বিরুদ্ধে মারামারিতে লিপ্ত হন। এমনকি পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করেও চেয়ার ছুড়ে মারতে দেখা যায়।

এই পরিস্থিতে ফের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই শেষ হয় অধিবেশন। অধিবেশন আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করে পুলিশের সহায়তায় কক্ষ ত্যাগ করেন স্পিকার কারু জয়সুরিয়া।

শ্রীলঙ্কায় এই রাজনৈতিক বিতর্কের শুরু গত ২৬ অক্টোবর। ওইদিন প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা অকস্মাৎ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি বিক্রমাসিংহে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন স্বয়ং পার্লামেন্টে স্পিকার জয়সুরিয়া।

গত বুধবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে আয়োজিত অনাস্থা ভোটে হেরে যান রাজাপাকসে। কিন্তু অনাস্থা সংবিধান বিরোধী বলে অভিযোগ করে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।

একদিন পর গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আরেক দফা ভোটাভুটি হয়। সেদিন এ নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী নিয়ে চলমান বিতর্কের কারণে কার্যত প্রধানমন্ত্রী ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে দেশটির সরকার। সোমবার পার্লামেন্ট অধিবশেন পুনরায় শুরু হলে বিক্রমাসিংহ নিজের প্রধানমন্ত্রী পদটি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন কিনা , তা নিশ্চিত নয়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত