ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

জেলে যাচ্ছেন ট্রাম্প!

জেলে যাচ্ছেন ট্রাম্প!

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আজ যে খবরটি সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে সেটি হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার সম্ভবনা।

রোববার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য অ্যাডাম শিপ বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি মনে করেন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় অবৈধভাবে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়ার দায়ে জেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। আর তার এ ধারণা সত্যি হলে ট্রাম্পই হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি জেলে যাবেন। কেননা এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনো প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এতটা বিতর্ক তৈরি হয়নি।

বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের এ কংগ্রেসম্যান বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রসিকিউটররা যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা থেকে এমন ধারণাই করা হচ্ছে।’

রোববার মার্কিন সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলকে সিনিয়র কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম শিপ এসব কথা বলেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটির পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেন তিনি।

অ্যাডাম শিপ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যেদিন ক্ষমতা ছাড়বেন সেদিন তার জেলে যাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। বিচার বিভাগ তাকে জেলে নিতে পারে এবং ট্রাম্প হতে পারেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি জেলে যাবেন।’

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় দুই পর্ন তারকার সঙ্গে নিজের অবৈধ যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখার জন্য মুখ বন্ধ রাখার জন্য ওই দুইজনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন তার পক্ষে ওই দুই নারীকে অর্থ দিয়েছিলেন। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর কোহেনকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প।

সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেরল্ড ন্যাডলার বলেন, ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় কয়েকজন নারীকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর তিনি এটা করেছিলেন ওই নারীদের মুখ বন্ধ রাখতে। এটা প্রমাণিত হলে এটা অভিসংশনযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’

‘দ্য হাউস জুডিশিয়ারি কমিটি’র হবু চেয়ারম্যান ন্যাডলার বলেন, যদিও কাজগুলো তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে করেছেন। কিন্তু তিনি এগুলো করেছেন জালিয়াতি করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার উদ্দেশ্যেই। তিনি আমেরিকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, রিপাবলিকান কংগ্রেস এর আগে এসব অভিযোগ থেকে প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করেছেন। তবে নবগঠিত কংগ্রেস এবার আর তাকে রক্ষা করবে না।

ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী কোহেনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কের আইনজীবীরা কোহেনের শাস্তির বিষয়ে একমত হয়েছেন। আগামী বুধবার তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত