ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শবরীমালায় প্রবেশ করে ইতিহাস গড়লেন দুই নারী

শবরীমালায় প্রবেশ করে ইতিহাস গড়লেন দুই নারী

ভারতের বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন চল্লিশ বছর বয়সী দুই নারী।

সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট গত ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী নারীদের প্রবেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষ ভক্তদের বাধার পক্ষে দীর্ঘ চার মাস ধরে কোনো ঋতুমতী নারী ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। অবশেষে এই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন দুই নারী।

পুলিশের দাবি, বুধবার সকালে ওই মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর প্রার্থনা করে নির্বিঘ্নে ফিরেও এসেছেন তারা।

এর মধ্য দিয়ে অবসান হল ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার। শুরু হল এক নয়া অধ্যায়ের। তবে মন্দিরের আয়াপ্পা ভক্তদের দাবি, দুই নারীর দাবি সঠিক নয়।

শবরীমালা মন্দিরে এতদিন ধরে ১০ থেকে ৫০ বছরের অর্থাৎ ঋতুকালীন বয়সের নারীরা প্রবেশ করতে পারতেন না। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই প্রথাই চলে আসছিল। এমনকি, মন্দিরে ঢোকার সময় বয়সের প্রমাণপত্রও দেখাতে হত মন্দির কর্তৃপক্ষকে।

এই প্রথার বিরুদ্ধেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, ধর্মাচরণে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা যায় না। সব বয়সের নারীদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

তারপর থেকে বহু নারী মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাদের মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন আয়াপ্পার‘ভক্ত’রা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভে আটকে দিয়েছেন মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা। মন্দিরের প্রায় এক কিলোমিটার আগে থেকেই কার্যত এই সংগঠনগুলি দেয়াল তুলে দিয়েছিল। কেউ মন্দিরে প্রবেশের জন্য পাহাড়ে উঠতে গেলেই তাদের বাধা দিচ্ছিল।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্দিরে ঢোকার জন্য শবরীমালা পাহাড়ের পেম্বা বেস থেকে যাত্রা শুরু করেন বিন্দু এবং কনকদুর্গা নামে ওই দুই নারী। তাদের দু’জনেরই বয়স ৪০-এর আশেপাশে বলে জানা গিয়েছে। তাদের কর্ডন করে নিয়ে যায় ছোট্ট একটি পুলিশের দল। ওই দলে ইউনিফর্ম পরা এবং সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল।

বুধবার স্থানীয় সময় ভোর পৌনে ৪টা নাগাদ তারা শবরীমালা মন্দিরের দরজায় পৌঁছান। কালো কাপড় পরে তারা মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর কাছে প্রার্থনা করার পর বিনা বাধায় নিচে নেমে আসেন।

তবে এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে অয়াপ্পা ভক্তরা। ‘আয়াপ্পা ধর্ম সেনা’ নামে সংগঠনের সদস্য রাহুল ঈশ্বর বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা সত্যি। ওই দুই নারী অত্যন্ত গোপনে মন্দিরে প্রবেশ করে থাকতে পারে। বিষয়টি সত্যি বলে জানতে পারলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত