মসজিদে গণহত্যার দায় এড়াতে পারেন না ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো শ্বেতাঙ্গ রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পশ্চিমা মূলধারার গণমাধ্যমগুলো নিউজিল্যান্ডের দু’টি মসজিদে চালানো সন্ত্রাসী হামলার দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক ইভোন রিডলি।
তিনি শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪৯ মুসল্লি নিহত হওয়ার পর এক নিবন্ধে লিখেছেন, পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমগুলোকে এখনই ইসলাম-বিদ্বেষী প্রচারণায় বিরতি দিয়ে ক্রাইস্টচার্চের গণহত্যায় তাদের কি ভূমিকা আছে তা নিয়ে আত্মসমালোচনায় বসতে হবে।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে হামলা চালান ২৮ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। নিজের মাথায় ক্যামেরা লাগিয়ে ১৭ মিনিট ধরে চালানো গণহত্যার ভিডিও তিনি ইন্টারনেটে লাইভ শেয়ার করেন। অনেকটা ভিডিও গেম খেলার মতো করে তিনি মুসল্লিদের ওপর পাশবিক গণহত্যা চালান।
এর আগে টুইটারে একটি ‘ইশতেহার’ প্রকাশ করে তিনি নিজের অভিবাসী-বিরোধী ও ইসলাম-বিদ্বেষী চিন্তাধারার কথা তুলে ধরেন। নিজেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন সমর্থক হিসেবে তুলে ধরে হামলাকারী বলেন, ‘পুনরুজ্জীবিত শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে আমি অবশ্যই ট্রাম্পের একজন সমর্থক।’
ইশতেহারে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলিমদের অপছন্দ করি। আমি সেসব মুসলিমকে ঘৃণা করি, যারা অন্য ধর্ম থেকে এসে মুসলিম হয়।’
এ সম্পর্কে ব্রিটিশ সাংবাদিক ইভোন রিডলি আরো লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডে যা ঘটেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার দায় নিতে হবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তিনি ইসলাম ও অভিবাসী বিদ্বেষী প্রচারণা শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, যেসব শ্বেতাঙ্গ রাজনীতিবিদ পশ্চিমা মূলধারার গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করেছেন, তারাও এ হামলার দায় এড়াতে পারেন না।
লেখক ইভোন রিডলি
পার্স টুডে
এমএ/