ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইংরেজি বুঝতে না পারায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

ইংরেজি বুঝতে না পারায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রতীকী ছবি

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচতলা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর মরদেহ। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে, বিশেষ করে ইংরেজি কম পারার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। তবে তিনি কোনো সুইসাইড নোট লিখে রেখে জাননি।

শুক্রবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন কোচবিহারের সমাপ্তি নামের ওই তরুণী । কিন্তু পরিবারের চাপে চলতি বছর কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হন তিনি। ওই নার্সিং কলেছে ইংরেজি ভাষায় সবকিছু পড়ানো হতো। কিন্তু আজীবন বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে আসা সমাপ্তির পক্ষে সেগুলো বোঝা সম্ভব হতো না। তাছাড়া সমাপ্তি মেধাবী হলেও ইংরেজিতে অতটা ভালো ছিলেন না। তাই হাজার কষ্ট করেও পড়া মুখস্থ করতে পারছিলেন না সমাপ্তি। আর সে কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে আসল সত্যটা কী তা এখনও বলা যাচ্ছে না। প্রেম ব্যর্থ হয়ে তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ।

এদিকে সমাপ্তির জীবনের এই করুণ পরিসমাপ্তি মেনে নিতে পারছেন না নাসিং কলেজে তার সহপাঠী ও বন্ধুরা। তারা জানান, শুক্রবার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন সমাপ্তি। ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সঙ্গেই ছিলেন ওই তরুণী। তারপর হোস্টেলে ফিরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে সমাপ্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তার রুমমেটরা।

তার মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে। জানা যায়, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যালের নার্সিং পড়ুয়াদের হোস্টেলের প্রতিটি ঘরে তিন-চারজন করে শিক্ষার্থী থাকেন। সেক্ষেত্রে সমাপ্তির আত্মহত্যার সময় কেউ টের পেলেন না কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। সবে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন ওই তরুণী। এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কীভাবে তার মতো একজন মেধাবী ছাত্রী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, তাও ভেবে পাচ্ছে না তদন্তকারীদের।

এদিকে সমাপ্তির আত্মহত্যার ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত তার সহপাঠীরাও। এই ঘটনার পর থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে আর থাকতে চাইছেন না কোনও ছাত্রী। তারা বাড়ি ফিরে যেতে উদগ্রিব হয়ে উঠেছে বলে জানা যায়।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত