ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশুর বৃদ্ধির গুরুতপূর্ণ সময়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৫:৩০  
আপডেট :
 ১১ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৪

শিশুর বৃদ্ধির গুরুতপূর্ণ সময়

প্রারম্ভিক শৈশব সময়টা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়টা শিশুর বেড়ে ওঠার সময়। তাই এই সময় প্রয়োজন শিশুর বিশেষ যত্নের। শিশুর জন্মের পর প্রথম ৬ মাস এবং শিশুর আট বছর হওয়ার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের। নানান রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এই সময় শিশুর মাঝে। অনেক সময় পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারেন না এই সময়টা শিশুদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিৎ। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পরিবারের ভূমিকা সব চেয়ে বেশি।

জন্মের প্রথম মাস থেকেই শিশুর চেহারা ও শারীরিক বৃদ্ধি পাশাপাশি শিশুর ইন্দ্রিয় ক্ষমতার উন্নতি হতে থাকে। একটি শিশু চার সপ্তাহ বয়সেই কথা শুনে সাড়া দিয়ে থাকে। এই সময়টা শিশুরা “মা” এবং “না” শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে। তাদের সাথে কথা বললে তারা সেইটার সাড়া দেয়। কথা বলার চেষ্টা করে। এই সময়টা পরিবারের যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিৎ শিশু সঠিক ভাবে বেড়ে উঠছে কিনা। যদি শিশু প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া না দেয় তবে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।

শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন কিছু দেয়া যাবেনা। এই সময়টা শিশু মায়ের বুকের দুধ থেকে সকল পুষ্টি পেয়ে থাকে। শিশুর তিন মাস থেকে চার মাসে পদার্পণ করার সময় শিশু ধীরে ধীরে চারপাশের বিভিন্ন জিনিসের দিকে কৌতূহলী হয়ে ওঠবে। এই সময় টা শিশুকে রঙিন এবং সচল জিনিস পত্রের দিকে বেশী আকৃষ্ট হতে দেখা যাবে।

পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ মাস শিশুর বৃদ্ধির সময়। এই সময় শিশুর বেড়ে ওঠার একটি নতুন অধ্যায় এর সূচনা। এই সময় থেকে শুরু হয় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি। এই সময়টা শিশুর পুষ্টির দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক পুষ্টি শিশুকে সুন্দর এবং স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে তুলতে সাহায্য করে। শিশুর ৬ মাস থেকেই মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে আস্তে আস্তে বাড়তি খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে।

শিশুর খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর সব খাবার থাকছে কিনা সেই বিষয়ে যথেষ্ট নজর দিতে হবে। প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক-সবজি, মাছ, মাংস এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ফল শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। কোন বয়সে শিশুর খাবারের পরিমাণ কি হবে সে বিষয়ে চাইলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে পারেন।

শিশুর প্রথম ৮ বছর সময় টা খুবই স্পর্শকাতর একটি সময়। এই সময় শিশুর প্রতি বাবা মায়ের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এই সময় টা শিশুরা একটু চাঞ্চল্যকর আচরণ করে থাকে। এই সময়টা তাদের স্থির রাখা খুবই কষ্টসাধ্য। কোন টা তাদের জন্য ভালো এবং কোন টা তাদের জন্য মন্দ তারা সেগুলো বুঝে ওঠতে পারেনা। তাই বাবা মায়ের এই সময়টা যতেষ্ট শিশুর প্রতি সচেতন থাকতে হবে।

শিশুর এই বাড়ন্ত বয়সের সময় তাদের মানুষিক বিকাশ ঘটে থাকে। এই সময়টা আশেপাশের পরিবেশের সাথে ক্ষাপ খায়িয়ে নেয়ার সময়। নানান রকম প্রতিকূলতা মোকাবেলার সময় এটি। অনেক সময় দেখা যায় এই সময়টা শিশু নিজে কি চাচ্ছে তা প্রকাশ করতে পারছে না ঠিকমতো। কথা চেপে রাখছে। কষ্ট অনুভব করছে। তার কাছে মনে হবে সবাই তাকে অবহেলা করছে। তাই এই সময়টা শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে হবে। শিশুর কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। শিশুকে বোকাঝোঁকা না করে এই সময়টা শিশুকে সময় দিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে। শিশুকে এই সময়টা গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের দিক টা আগে ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত