ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিবন্ধনধারীদের একটি আবেদনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হোক

  মুন্নাফ হোসেন

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৩১

নিবন্ধনধারীদের একটি আবেদনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হোক

দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকার পর অবশেষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। খবরটি বেকার নিবন্ধনধারীদের নিকট ব্যাপক আনন্দের। বিজ্ঞপ্তি পড়তে গিয়ে কোনো এক লাইনে চমকে যেতে হল। কেননা যত ইচ্ছে ততগুলো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে নিবন্ধনধারীরা। তবে প্রতিটি আবেদনের জন্য লাগবে ১৮০ টাকা করে। যদি নিজস্ব কম্পিউটার না থাকে, তাহলে বাইরে থেকে আবেদন করলে গুনতে হবে ২৩০ টাকা হতে ২৫০ টাকা করে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।

এটি বেকার নিবন্ধিতদের জন্য বাড়তি চাপ। এতটাকা পাবে কোথায়! তাহলে কি টাকার অভাবে আবেদন করতে পারবে না নিবন্ধনধারীরা? জানা মতে বাংলাদেশের আর কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় এত টাকা চাওয়া হয় না।

এনটিআরসিএ ২০০৫ সাল হতেই সনদ বিক্রি, টাকার বিনিময়ে অধিক নম্বর প্রদানসহ নানা দুর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ। যে উদ্দেশ্যে এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল জনগণ তার ফলাফল পুরোপুরি এখনও পায় নি। এভাবে চলার ফলে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তাদের মর্যাদাহানি করেছে। জনগণের জন্যই সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাহলে জনগণের উপর জুলুম কেন? একটি আবেদনে ১৮০ টাকা করে হলে কমপক্ষে ১০টি আবেদন করলে টাকা লাগবে ১৮০০ টাকা। ২০১৬ সালেও এমনটি হয়েছিল। অনেক বেকার চাকরীর আশায় ৩০-৪০টি করে আবেদন করেছিল কিন্তু নিয়োগ পায় নি। অনেকেই ভেবেছিল এবার হয়তো এমন হবে না। সে আশায় গুড়েবালি।

এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের আরো একটি নিয়ম অনেকের যন্ত্রণার কারণ হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে যে বয়স যাদের ৩৫ বছরের বেশি তারা আবেদন করতে পারবে না। এটি অবিচার। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাই আবেদনের বয়স কমপক্ষে ৪০ বছর করা প্রয়োজন। বেকারের বুকফাটা কান্না দেখার যেন কেউ নেই। তাই একাধিক আবেদন নয়,একটি আবেদনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা উচিৎ। এমন করা যায় যে, আবেদন একটি কিন্তু একাধিক প্রতিষ্ঠান পছন্দ করার পদ্ধতি। এভাবে করলে বেকারদের কষ্ট লাঘব হবে। তাই এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন, একটি আবেদনের মাধ্যমে যেন নিয়োগ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

লেখক:

সহকারী শিক্ষক

মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

ধনবাড়ী,টাঙ্গাইল।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত