ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতকে বাধ্য করতে হবে: বিএনপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:১৮  
আপডেট :
 ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৩৭

হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতকে বাধ্য করতে হবে: বিএনপি
বিএনপি

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতীয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক শাহিবর রহমান নামে এক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈঠকে বলা হয়, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই সকল হত্যাকান্ড বিষয়ে কখনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। সভ্য পৃথিবীর কোনও দেশে সীমান্তে এই ভাবে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় না। এটা আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। এই ধরনের ন্যক্কারজনক হত্যাকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতীয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো বৈঠকে।

বৈঠকে চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নামে থাকা যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে বলে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর তৎকালীন সরকার সার্কিট হাউজটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এটা ছিল জনগণের দাবির ভিত্তিতে তার প্রতি জাতির সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন। যাদুঘর সরানোর হীন সিদ্ধান্ত কোন দিনই জনগণ মেনে নেবে না।

বৈঠকে আরও বলা হয়, উপহারের ঘর যারা ভেঙ্গেছে তাদের তালিকা হাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মানে দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ দলীয় ঠিকাদার ও দলবাজ আমলাদের দুর্নীতি ও পক্ষে সাফাই গাওয়ার শামিল। প্রকৃত পক্ষে দুর্নীতিকে এখন রাষ্ট্রীয় ভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয় বৈঠকে।

বৈঠকে সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ দলের বহুসংখ্যক নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেপপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত